আনিয়ম আর দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও তাগিদ মুখ্যমন্ত্রীর
এমএ রহিম, বেনাপোল সিমান্ত
বেনাপোল (বাংলাদেশ) : দু দেশের সরকারেরর বড় একাটি রাজস্ব আসে বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল আর্ন্তাজিক স্থল বন্দর থেকে। আমদানি রফতানি বেড়েছে কয়েকগুন। কিন্তু বন্দর ও কাস্টমসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শ্রমিক তথা বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা জড়িয়ে পড়েছে অনিম আর সীমাহীন দুর্ণীতিতে।
বেনাপোল পেট্টাপোল বন্দরে সিন্ডিকেট তৈরী করে ব্যাবসায়িদের যেমন একরকম জিন্মি করা হচ্ছে, অন্য দিকে সিরিয়ালের নামে পন্যবাহী ট্রাক দিনের পর দিন আটকে রেখে ইচ্ছেমত অর্থ আদায় করছে। তাদের নিয়ম করা টাকা দিলেই ওই পণ্যবাহী ট্রাক পড়ে আসলেও তা আগে ছেঃএ দেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যচ্ছে।যারা তাদের চাহিদা মত চাদার টাকা না দেয় তাদেরকে সিরিয়ালবাজীর জটে আটকে দেয়। সিরিয়ালবাজীর শিকার ওই সব কাঁচামাল পণ্যবাহী ট্রাকের মাল পচে গেলেও তাদেরকে ছাড়া হয়না। এতে করে ব্যাবসায়িরা বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হচ্চেন যেমন, তেমনি পন্যের গুণগত মান আরও ঝুকিপূর্ণ হয়এ পড়ে। এই অবস্থায় দুদেশের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ব্যাবসার সাথে সম্পকৃত সংশ্লিষ্টরা । এর ফলে সরকারী রাজস্ব আদায় মারাত্বকভাবে বিঘনিত হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।
এসব বিষয়ে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সরকার নড়েচড়ে বসলেও নিশ্চুপ বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর অভ্যান্তরে বিভিন্ন সংস্থার তোলাবানিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। নানা ভারত সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত ট্রাক টার্মিনালের দায়িত্ব নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাক টার্মিনাল নিয়ে নেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ দফতর। সীমান্তে ট্রাক টার্মিনালগুলি থেকে রাজ্য সরকারের কোষাগারে যে রাজস্ব আসার কথা তা আসছে না বলেই রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে সূত্র জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের প্রশাসনিক বৈঠকে পেট্রাপোল বন্দরের এই অব্যবস্থা জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ুল্লেখ্য, মাস খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন ট্রাক টার্মিনাল গুলো পরিদর্শন করেন বিভিন্ন জেলার প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা। তাদের রিপোর্টের পর পরই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।পেট্রাপোল বন্দর ছাড়াও ভরতের পেট্রাপোল, হিলি, চ্যাংড়াবান্দা, ঘোজাডাঙ্গাসহ যেসব সীমান্ত রয়েছে, সেখানকার বিষয়টিও দেখার জন্য পরিবহন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওখান থেকে সরকারের যে পরিমান রাজস্ব আসা উচিত সেটা হয় না। কিছু অসাধু লোক এবং কিছু আধিকারিকরাই এর জন্য অধিকন্তু দায়ী। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্দর অভ্যন্তরে পার্কিং লট তৈরি করার জন্য যে জমির প্রয়োজন সেই জমির জন্য এনওসি দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এদিন বোঝাতে চান, সরকার জনকল্যাণে প্রচুর স্কিম নিয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায় না হলে সেগুলি চলবে কী করে। তার স্পষ্ট নির্দেশ, প্রশাসন একটু শক্ত হলেই, সীমান্তবর্তী জেলা থেকে টাকা আসবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দরের বিপরীতে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক টার্মিনাল সৃস্টি করে একটি সিন্ডিকেট বাংলাদেশে রফতানিমূখী পণ্যবাহী ট্রাক থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করছে। যা দিতে হয় বাংলাদেশী আমদানিকারকদের। কোন কোন স্থানে এক একটি ট্রাক এক মাসেরও বেশি সময় আটকে রাখা হয়। এর ফলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আসতে রফতানি শিপমেন্ট তারিখ পার হয়ে যায়।এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ট্রাক টার্মিনালে দালালচক্র চলছে। প্রাইভেটের নাম নামে সীমান্তে ট্রাক টার্মিনালে টাকার নয়ছয় হচ্ছে।সীমান্ত এলাকার বাইরেও লরি দাঁড় করিয়ে তোলাবাজি চলছে। এসব আর চলবে না।” বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন বেনাপোল বন্দরে ধারন ক্ষমতার বাইরে পন্যরাখা হয়। রয়েছে জায়গা ও জনবল সংকট। হয়রানি অনিয়ম ও দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় রেলকে গুরুত্বদিতে হবে।