প্রিয়াঙ্কার সাথে সেলফি তোলার শাস্তি পাবে কয়েকজন মহিলা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁন্ধীকে ফের গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকরনগর লকআপে এক ছাফাই কর্মী মারা যায়। কিন্তু বাড়ির লোকের অভিযোগ লকআপে পুলিশ  তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। বুধবার দুপুরে আগ্রায় অরুণ বাল্মীকি নামক মৃত সাফাইকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে  পথে পুলিশ বাধা দেয় এবং পরে লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের বক্তব্য, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল, পুলিশ তাকে বার বার  ওই পথে যেতে বাধা দিলেও তিনি আইন ভঙ্গ করে সামনে এগুলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।  পুলিশে হেফাজতে থাকার সময় প্রিয়ঙ্কা জানান, ‘যোগী সরকারের কি কৌশল বুঝতে পারছি না, উত্তরপ্রদেশে কেন বারবার আমাকে আটকানো হয়, গ্রেফতার করা হয়, এটা কি শুধু বিজেপি তথা য়োগী আদিত্য নাথের কেনা তালুক ?’ ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, মৃতের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রিয়ঙ্কাকে আগ্রায়  মৃতের  পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিতে চাচ্ছেনা  যোগী রাজের পুলিশ।

উ্ল্লেখ্য, কিছুদিন আগে লখিমপুর খেরিতে মৃত কৃষকদের বাড়িতে যাওয়ার পথেও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গাঁন্ধীকে আটকানোর অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই সময় থেকেই প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে হচগছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেই আটক করার সময়েই যোগীর রাজ্যের বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সেলফি তুলেন। খবর দেখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ রুষ্ট হন। পরে ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহাকরণ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়, এমনটাই জানিয়েছেন লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ভিকে ঠাকুর।

এই খবর পেয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন ‘যদি আমার সঙ্গে ছবি তোলার অপরাধ হয় তবে শাস্তিতো আমার পাওয়া উচিত, মহিলা পুলিশ-রা  কেন পাবে?’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে  প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘শুনলাম আমার সঙ্গে পুলিশকর্মীদের সেলফি তোলার ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ, সে কারণেই তাদের শাস্তি দিতে উদ্যত হয়েছেন। আমার সঙ্গে ছবি তোলা অপরাধ হলে আমাকেও শাস্তি দেওয়া উচিত।’