ভিওসি রিপোর্ট

কথায় নয়, বাস্তবেও নারী-র ক্ষমতায়নের ঐতিহাসিক বার্তা দিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করবে কংগ্রেস। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের পরীক্ষিত ছকেই এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে পরাস্ত করার পরিকল্পনা কংগ্রেসের, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পর সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস রয়েছে চতুর্থ স্থানে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা ভোটের দিন ক্রমেই এগিয়ে আসতে থাকায় দলের শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া কংগ্রেস। আর তাই মহিলাদের প্রাধান্য দিয়ে ভোটের আসরে নামতে চলেছে কংগ্রেস।

২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের মতো  মহিলা  ভোটারদের কাছে টানার পরিকল্পনা ছাড়াও নিজেদের প্রার্থী তালিকার ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেয়ার কথা ঘোষনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই সিদ্ধান্তকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কংগ্রেসের জন্য ভালো হবে বলেই  মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।

রমাঝেই মহিলা প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা যে আসলে একটি পরিক্ষিত পথেই বিজেপিকে হারানর চেষ্টা এমনটাই মনে করছেন অনেকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস,২৯৪টি আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে মহিলা প্রার্থী দেয়। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ থেকে শুরু করে  তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচার ধিরে ধিরে মোর নেয় ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’-এর দিকে। বাংলার মহিলা ভোটারদেরকে নিজেদের দিকে টানতে নির্বাচনী ইস্তেহারে বাড়ির মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা  তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে সাহায্য করে। উত্তর প্রদেশ, যেখানে হাথরসের মত ঘটনা ঘটেছে এবং যেখানে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রতিদিন বাড়ছে বলেই বিরধিদের দাবি, সেই রাজ্যে এবার মহিলা ভোট টানার চেনা ছকেই নিজেদের নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা করবে কংগ্রেস এমনটাই মনে করা খুবই প্রাসঙ্গিক।  কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশে জনপ্রিয় বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি লখিমপুর খেরির ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে তার লড়াই দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। তাই এবার দলের প্রচারে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে  ‘প্রধান মুখ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।