এম এ রহিম, বেনাপোল
বেনাপোল সিমান্ত, বাংলাদেশ: আবারো শুরু হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্ত সীমাত্মে বৈধ বানিজ্যের আড়ালে মাদক ও অস্ত্র পাচারের মত ভয়াবহ তৎপরতা।আমদানি রফতানিতে ভারত ও বাংলাদেশের কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়িরা জড়িয়ে পড়ছে এই ঘাপলাবাজির নেপথ্যে।
পাচারের সাথে জড়িত কতিপয় অসাধু চক্রের সদস্যরা সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বৈধ পন্যের সাথে মাদক দ্রব্য ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরণের ঘোষণা বর্হিভূত নিষিদ্ধ পন্য। ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের কাস্টমস ও বিজিবি সদস্যরা গত তিন মাসের ব্যাবধানে ওই ধরণের বেশ কয়েকটি পণ্যের চালান আটক করেছে । বুধবার এমন অভিযান চালালে ধরা পড়ে ভারত থেকে আসা এমনই বড় ধরনের একটি চালনা। বন্দর ও কাষ্টম সংশ্লিষ্টরা জানান.
ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্ক মুক্ত) মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের ট্রাকে বিশেষভাবে লুকিয়ে আনা শাড়ি, ও থ্রিপিচ, বাংলা মদ, ফেনসিডিল, বিদেশি সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে জব্দ করা ওই মালামালের মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেনাপোল শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ-র লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের ইনভেস্টিগেশন সম্পদ ব্যবস্থাপনা (আইআরএম)-র একটি টিম বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করে কাস্টমস হাউসে নিয়ে যায়। ট্রাকটি তল্লাশি করে ঘোষিত পণ্যের ভেতর থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৯৯৫ বোতল ফেনসিডিল, ৬ বোতল বাংলা মদ, ৯৭ হাজার ৬০০ শলাকা বিদেশি সিগারেট, ২৯.৬ কেজি বাবা জর্দা, ৬০ কেজি আতসবাজি, ৪৮ পিস শাড়ি, ২৫ পিস থ্রিপিচ, ৭০ কেজি কারেন্ট জাল এবং ভারতীয় বিভিন্ন ওষুধসহ বিভিন্ন ধরণের কসমেটিকস জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে পাচারের সাথে জড়িত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, এমনটাই জানিয়েছেন মো: আজিজুর রহমান।