প্রণব ভট্রাচার্য্য
আজ ২৫শে ডিসেম্বর ।উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট্রধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। খ্রীস্টধর্মবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, যীশু ইশ্বরের পুত্র। মানবতার দূত যীশু খ্রীস্ট সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানু্যকে সত্য ও ন্য্যয়ের পথে আনতেই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই এদিনটিকে বড়দিন হিসেবেই পালন করছেন খীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই বছর শেষে বড়দিনের উৎসবে মেতেছে কলকাতা তথা গোটা বাংলা। গির্জায় গির্যায় প্রার্থনায় অংশ নেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। উৎসবের আমেজে বহু জায়গায় মানুষ পিকনিকে মেতে উঠেছেন। বিশেষ দিনটিকে সামনে রেখে চার্চগুলোকে সাজিয়ে তোলা হয়।
ক্রিসমাসের উৎসবে আলোর মালায় সেজে উঠেছে কলকাতার মাদার টেরিজা সরণি। পার্ক স্ট্রিটে আলো, রোশনাই দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান ক্রিসমাস ইভ আর বড়দিনে। অতীতে ব্রিটিশরা মনে করতেন অ্যালান পার্কে নাকি ক্রিসমাস ইভের রাতে নেমে আসে সান্তা। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করে পার্ক স্ট্রিটে। যার জেরেই পথচলতি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও ভিড় সামলাতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এমনিতেই পার্ক স্ট্রিট নিয়ে কলকাতা পুলিশের সামনে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ। একদিকে, ভিড়কে বাধ্য করা কোভিড বিধি মেনে চলতে। অন্যদিকে, এত বড় চলমান সমাবেশের নিরাপত্তা সামলানো। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সব বিষয় মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে মোতায়েন করা হয় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ।
বারাসাত থেকে মধুমিতা দাস :
বড়দিন উপলক্ষে উন্নয়নসংস্থা বারাসাত সমন্বয় ও রোটারী ক্লাব অব বারাসাত আউটার-RID-3291 যৌথভাবে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে বড় দিনের উৎসব পালন করে। সমন্বয় অফিসে সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শিশুদের মঝে কেক কেটে, বেলুন, কমলালেবু, বিস্কুট ও মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এদিন একজন নাট্যকর্মী বেশ কয়েকজন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অভিনয় শেখানোরও তালিম দেয়।
অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন সমন্বয় কর্ণধার ও সাংবাদিক রজত বিশ্বাস, সংগঠক গৌতম গণ, মধুমিতা দাস ও লিটা রানী। রোটারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র রোটারিয়ান ও পাস্ট প্রেসিডেন্ট দীপক মুখার্জী।
বেনাপোল বাংলাদেশ থেকে এম এ রহিম
বেনাপোল সিমান্ত (বাংলাদেশ): সিমান্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দময় পরিবেশের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয়উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে
যশোরের শার্শা উলাশি ও বাগআচড়া পার্শ্ববর্তী ন’পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গির্জায় বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করাহয়। যীশুখ্রিস্ট্রের জীবনীসম্পর্কে আলোচনা করেন ফাদার এন্ডুচিরাং চাকমা ও রনি মন্ডল। পরে প্রসাদ বিতরণ, কীর্তন পরিবেশন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত পরে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
যশোরস্থ ঝিকরগাছা উপজেলার নোয়াপাড়া মহাদূত মাইকেলের গির্জায় শনিবার সকালে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনাসহ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় খ্রিস্টধর্মবলম্বীদের ৯০টি পরিবারের প্রায় পাঁচশতাধিক নারী-পুরুষ ভক্ত এই অনুষ্ঠানে হয়। অংশ নেয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তন মন্ডল, রুপচাদ মন্ডল, নরেনমন্ডল, জন রয়েল, অভি পালমা প্রমুখ।
এদিন এইসব অনুষ্ঠানে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের পাশপাশি হিন্দু, মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ যেন সম্প্রীতির অপূর্ব নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। দিনভর বেনাপোল সিমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা মিলন মেলায় পরণত হয়েছিল।