বন্দরে  দু’দিনে দুই হাজারেরও বেশী পণ্যবহী ট্রাক আটকে আছে

এম এ রহিম, বেনাপোল সিমান্ত

বেনাপোল : ভারতীয় শ্রমিকদের অনির্দিষ্ট কালের ডাকা  একটানা ধর্মঘটের ফলে  বেনাপোল-পেট্টাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বন্দরের এই অচলাবস্থার ফলে  কোটি কোটি টাকার কাঁচা পণ্যসহ আন্যান্য সামগ্রী পচে নষ্ট হচ্ছে। মাথায় হাত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ, কষ্টে দিন কাটাচ্ছে তারা।

পশ্চিমবঙ্গের পেট্টাপোলে শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের  দু’দিনে দু’দেশের স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্যে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দু’দেশের বন্দরঅভ্যন্তরে  রাস্তার  দু’পাশে সারি দিয়ে দাড়িয়ে আছে  দুই হাজারেরও বেশী  পণ্য বোঝায়  ট্রাক। বন্দরে  মালামাল  লোড আনলোড করতে না পারায় রাস্তায়-ই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কোটি-কোটি  টাকার  পণ্য সামগ্রী।

পাশাপাশি অলস সময় কাটাচ্ছেন বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক সহ বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন লস-সদস্যরা। একপাশে পন্যবাহি ট্রাকের ভয়াবহ জট  অন্য পাশে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক অনেকটা ফাকা হয়ে গেছে। বন্দর ব্যাবহারকারী প্রায় ১০টি সংগঠনের সদস্যরা শুয়ে বসে অলস হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

বেনাপোলের বিপরীতে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে বিএসফের হয়রানি ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার দাবীতে সোমবার থেকে অনিদিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন,যাত্রীবাহী পরিবহন  সমিতি সহ বন্দর ব্যবহার কারী ৪টি সংগঠন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে সোহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি।করোনার ধক্কলের পর দুশের মধ্যে  যখন বানিজ্য আদান প্রদান বাড়তে ছিল  ঠিক তখন এই ধর্মঘট  আমদানি রফতানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। সরকারের  রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রেও বিশাল ধাক্কা। তবে ধর্মঘটের বিষয়টি ভারতের সরকার ও পেট্টাপোল বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।   নিয়ম মেনেই আমদানি রফতানি বানিজ্য চলা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মতিয়র রহমান। তিনি বলেন,   বিএসএফ বা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দু’পারের বন্দর ব্যাবহারকারী ও প্রশাসনের  মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে সমাধান না হলে বড় রকমের আর্থিক ঝুকিতে পড়তে হবে দু’দেশকেই।  প্রতিদিন এই  বন্দর  থেকে আমদানি রফতানি  খাত থেকে  ২০থেকে ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা হয়। তাই ভারতীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে এই ধর্মঘটে  আবসানএর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন  বানিজ্য় কারবারী সমিতির  সভাপতি মতিয়র রহমান।