ভিওসি রিপোর্ট

কলকাতা ২৯ মে ২০২১ : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার,  ফলে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিসনের কন্স্যুলার মো: বশিরউদ্দিন মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৯ মে বাংলাদেশের পররা্ষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রনালয়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফের ১৪ দিনের জন্য  সিমান্ত বন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তন নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও দু’টি স্থল সিমান্ত বন্দর বন্ধেওর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিন চাউলডাঙার দর্শনা ও চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ, এই দুইসিমান্ত সংযোগস্থলও বন্ধ করে দেয়া হয়। জনসাধারণের যাতায়াতে নি্ষেধাঙা বহাল থাকলেও আগের মত মালামাল  ভারত থেকে স্থলবন্দর হয়েই ঢুকবে বাংলাদেশর মাটিতে। এ্কইভাবে চালু থাকবে বাংলাদেশের দিকে থেকেও। তবে সিমান্ত বন্ধ থাকলেও চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য কাজে ভারতে আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা উক্ত সময়সীমারমধ্যে যারা আটকে পড়েছেন তাদের পর্যায়ক্রমে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরানোর জন্য কলকাতা উপ-হাইকমিশনসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সরকারী নির্দেশমত কাজ করছে। মো: বশির জানান, দূতাবাসের এনওসি নিয়ে বাংলাদেশীরা বেনাপোল, আগরতলা, হিলি ও বুড়িমারী স্থলসিমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।

এর আগে প্রথমে একই কারণে ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত সমস্ত স্থলবন্দর বন্ধ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সরকার। ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্তে দ্বিতীয় দফায় ১০ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আরও ১৪ দিন সিমান্তন্ত বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভারতের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সিমান্ত বন্ধ রাখার সময়সীমা তৃতীয় দফায় আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্দান্ত নেয় বাংলাদেস সরকার। গতকাল ৩১মে সিমান্ত বন্ধের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুদিন আগেই আবারও সিমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

মো: বশির এই সংবাদদাতা-কে আরও জানায়, বাংলাদেশের সিমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার অন্যতম কারণ ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা একধাক্কায় আনেকটাই বেড়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারকে রিপোর্ট দেয়, বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় বিভিন্ন জেলাগুলোতে এখনো কোভিড সংক্রমণের হার অনেক বেশী, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সরকার সিমান্ত বন্ধের আরও একদফা নির্দেশ দেয়। দেশ‌টি‌তে আটকাপড়া বাংলা‌দে‌শি নাগ‌রিক‌দের ‌মধ্যে যা‌দের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেযে কম রয়েছে তাদের আগ্রাধিকারভিত্তিতে দেসে ফেরার অনুমতিপত্র দেয়া হবে। এইপদ্ধতিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত তিনহাজারেরও বেশী আটকেপড়া বাংলাদেশী নাগরিক দেশ ফিরেছেন, মো: বশির এমনটাই জানিয়েছেন। এছাড়া প্রায় পাঁচহাজারের মত বাংলাদেশী নাগরিক এখনও ভারতে আবস্থান করছেন এবং প্রতিদিনই এরা দেশে ফেরার জন্য এনওসি চেযে আবেদন করছেন বলে তয়িনি জানান।