ওমর আলী, ঢাকা থেকে : ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে ড. নূরুননবীর লেখা দুটি বই।

বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের যুদ্ধাপরাধ ও  প্রেসিডেন্ট নিক্সন-ড. কিসিঞ্জারের  দায়  এবং  মুক্তিযুদ্ধে ভারত নামের  দুটি  বই এই  স্বীকৃতি পেয়েছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরির  ইতিহাস-ঐতিহ্য বিভাগে গত সম্প্রতি বই দুটি তালিকাভুক্ত করা হয়। ৩শ বছরের প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম এই  লাইব্রেরি  ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। বই দুটি তালিকুভুক্তি সাথে যুক্ত ছিলেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের পরিচালক সাহানারা খাতুন । তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার জন্য  বই দুটি জমা দেওয়া হয়। পরে ন্যাশনাল লাইব্রেরি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিভাগের মূল্যায়ন কমিটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার জন্য বই দুটিকে স্বীকৃতি দেয়। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৩টি ভাষার বই ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, আরবী, রাশিয়ান, চায়নিজ, জার্মান ও ফ্রেঞ্চ ভাষার ৫০ লক্ষাধিক বই ও জার্নাল রয়েছে।

বই দুটির লেখক মুক্তিযোদ্ধা ড: নূরুন নবী পেশায় একজন বিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোলগেট টুথপেস্টসহ ৫৫টি পণ্যের পেটেন্টকৃত আবিষ্কারক। বই ও ইংরেজিতে লিখেছেন ৫০টি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ২য় সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন। ড. নূরুন নবী ১৯৭১ সালে কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন করেন। যুদ্ধকালীন ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ এবং ভারত থেকে ছত্রীসেনা এনে টাঙ্গাইল মুক্ত করে ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এ ব্য্যপারে  যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী ‘ভয়েস অফ ক্যালকাটা’-কে  বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক আমার লেখা  বই দুটি ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে স্থান পাওয়ায় একজন  মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি গর্বিত। ভারতের নতুন প্রজন্ম বই দুটি পড়ে জানতে পারবে, একাত্তরে ভারত সরকার এবং ভারতবাসী কিভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল। আমি ন্যাশনাল লাইব্রেরি ও ভারত সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’