স্টাফ রিপোর্টার

২০ ২৩  সালে মেঘালয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।  তৃণমূল সেখানে এখন  প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে। শিলংয়ের মসনদে রয়েছে বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা এনপিপি। ওই এনপিপি সরকারকে আগামী বিধানসভা ভোটে উৎখাতের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  অভিষেক বলেন, মেঘালয়ে বিধানসভার আসন ৬০টি। ৬০টি আসনেই প্রার্থী দেবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ্য হবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দিনভর শিলংয়ে কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।  সেখানেই তিনি জানান, মেঘালয়বাসীকে বিজেপির ওই  ছায়া সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বর্তমান সরকার মেঘালয়বাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। ডবল ইঞ্জিনের সরকার মানে দুই দিক থেকে জনগণকে লুঠ করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই তাদের। তাই ছয় মাস বাদে নতুন সরকার আসবে মেঘালয়ে। যে সরকারকে গুজরাত বা দিল্লি থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করবে না। যে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করবেন খাসি, গারো এবং জয়ন্তীয়ার মানুষ।

আর এই নতুন সরকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৃণমূলকে সমর্থন করার আহ্বান মেঘালয়বাসীর কাছে রেখেছেন অভিষেক। তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি  যুক্ত হতে এদিন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনাও করছেন তিনি।  ফোন নম্বর দিয়ে তিনি মেঘালয়বাসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন  তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হতে।

ত্রিপুরা, আসাম ও গোয়ার পর তৃণমূলের  নজরে এখন উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়। ইতিমধ্যে মুকুল সাংমা সহ কংগ্রেসের  ১২ জন বিধায়ক তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তাদের সামনে রেখেই মেঘালয়ে সংগঠন সাজাচ্ছে তৃণমূল শিবির৷ আর সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই শিলং গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মেঘালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানস ভুঁইয়া ও সব্যসাচী দত্ত। এদিন সেখানে পার্টি অফিস উদ্বোধন করেন অভিষেক। সম মনোভাবাপন্নরা সঙ্গে আসতে চাইলে স্বাগত। ত জানাবে তৃণমূল।