এম এ রহিম, বেনাপোল
বেনাপোল সিমান্ত (বাংলাদেশ): মিথ্যা চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে সিমান্ত পথে ভারতে পাচার হওয়া ৫শিশু ও ১০নারীসহ ২৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে শুক্রবার বিকেলে পেট্রাপোল সিমান্ত দিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। পাচার হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু সকলের বাড়ি ঢাকা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ও খুলনা জেলা বলে জানিয়েছে তারা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের (ওসি) মোহাম্মদ রাজু আহম্মেদ ও জাস্টিস এন্ড কেয়ারের প্রোগ্রাম আফিসার রোকেয়া খাতুন জানান, মিথ্যা আশ্বাসে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ওই সব পুরূষ-নারী ও শিশুদের ভারতে পাচার করা হয়। ওই ২ ৮ জনের কেউ দু’বছর, কাউকে তিন বছর জেল খাটার পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরের বাসা-বাড়ী ও রেস্টুরেন্টে কাজ করতে গিয়ে ও ইতস্তত ঘোরা-ফেরা করার সময় পুলিশ তাদেরকে আটক করে। হাওড়া কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকৃত ওই বাংলাদেশীদের কলকাতা লালবাজার পুলিশের জেলখানা থেকে কলকাতাস্থ ‘সপ্তহোম’ নামে একটি সংগঠ্ন তাদের সবাইকে হেপাজাতে নিয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দু’দেশের চিঠি চালাচালির মাধ্যমে আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশ ফেরৎ ওই ২৮ জনের মধ্যে ৭ জনের দেহে ওমিক্রণ সনাক্ত হলে তাদের কোয়ারেন্টটাইনে পাঠানো হয়।বাকি ২১জনকে যশোরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা ফেরৎ বাংলাদেশীদের তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
এ সময় চেকপোস্টে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ্ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শামিমা ইয়াসমিন স্মৃতি, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সোহেলী শারমিন. শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আলিফ রেজা. বেনাপোল চেকপোস্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খানরাজু আহম্মেদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।