এম এ রহিম, বেনাপোল
বেনাপোল সিমান্ত : পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৫ তরুণ তরুণী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। এদের মধ্যে ১২ জন তরুণ ও ১৩ জন তরুণী রয়েছে।
এ সময় কোলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারী (রাজনৈতিক) শামিমা ইয়াসমিন স্মৃতি উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসারা হলো-জুনাইয়েদ শেখ (১৮), আরিফুল ইসলাম (১৭), ইমন আক্তার (১৯), মোঃ মোমিন (২১), মোঃ মুন্না (১৮), সুবহা ফারাজি (১৬), খলিল শেখ (১৯), জাকির হোসেন (২০), আবু সাইদ (২৩), জান্নাত হোসেন (১৭), রবিউল শেখ (২১), মোঃ ফাইজুল (২০), আমেনা আক্তার (২০), হাসিফা খাতুন (১৪), এরকি খাতুন (১৬), খাদিজা খাতুন (২০), রুখসানা খাতুন (২১), আয়শা খাতুন (১৬), এমিলি খাতুন (২১), বিলকিস বেগম (২০), রোজিনা খাতুন (১৮), হোসনেয়ারা আক্তার (২১), শিরিনা খাতুন (১৬), লিপি আক্তার (১৫) ও জুবাইদা খাতুন (১৭)।
\এদের সবার বাড়ি নড়াইল, যশোর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, মাদারীপুর, রংপুর, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম জেলায়। ফেরত আসা বিলকিস বেগম বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যেমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে প্রায় ২ থেকে ৫ বছর শেল্টার হোমে থেকে আজ দেশে ফিরেছি।
বিলকিস বলেন, ওই সব শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশী মেয়েরা আছে। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। ফেরত আসা জাকির হোসেন বলেন, সংসারে অভাব অনটনের কারনে আয় রোজগারের আসায় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভারতের কলকাতা শহরে যাই। পরে সেখানে কাজ করার সময় সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করার অপরাধে পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। সেখান থেকে সংলাপ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। দুই বছর পর আজ দেশে ফিরলাম।
বেনাপোল ইমিগ্রেশ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এবং মহিলা আইন সমিতি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন। যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবি সমিতির নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরর করা হয়।