নিজস্ব প্রতিবেদন

কোভিড-১৯-র নতুন ভেরিয়ান্ট ও মিক্রনের  দাপটে ভারতে দেখা দিতে পারে তৃতীয় ঢেউ । আইআইটি’র বিজ্ঞানী জানিয়েছেন আগামী  ফেব্রুয়ারি  মাসে চরম মাত্রায় উঠতে পারে এই তৃতীয় ঢেউ। আর এই ঢেঁউ শুরু হলে এতে ভারতে দৈনিক এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

আইআইটি’র বিজ্ঞানী মনিন্দ্র আগরওয়াল মঙ্গলবার জানিয়েছেন এই তৃতীয় ঢেউটি এর আগের করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কম ক্ষতিকর হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, “ওমিক্রনের ক্ষেত্রে, বর্তমান পূর্বাভাস হল যে দেশে  ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় ঢেউ দেখা যাবে তবে এটি দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কম ক্ষতিকর হবে। এখন পর্যন্ত আমরা দেখেছি যে ওমিক্রনের তীব্রতা ডেল্টা  ভেরিয়েন্টের মতো নয়।”

বিজ্ঞানী মনিন্দ্র জানিয়েছেন এই ক্ষেত্রে ভারত সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার  দিকেই কড়া নজর রাখছেন, কারণ সেখানে সব থেকে বেশি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন কোভিডের এই নতুন রূপের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা ডেল্টার মত নয়। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় এর প্রভাবে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা বৃদ্ধি পায়নি।

ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি  সমর্থিত সূত্র-মডেল এর আগে জানিয়েছিল করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ অক্টোবরের মধ্যে দেশে আঘাত হানতে পারে যদি তার একটি নতুন রূপ আবির্ভূত হয়, যা ডেল্টার তুলনায় বেশি মারাত্মক এবং সংক্রমণযোগ্য। যদিও নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত, কোন নতুন ভেরিয়েন্ট দেখা যায়নি। এটি তখন নভেম্বরের পূর্বাভাস সংশোধন করেছিল। ২৬ নভেম্বর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য কিছু দেশে সনাক্ত করা কোভিড -১৯ ভাইরাসের নতুন রূপের নাম দিয়েছে ওমিক্রন।

ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ২৩ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি ঘটেছে রবিবার। রাজস্থানের  রাজধানী জয়পুরের  নয়জন, মহারাষ্ট্রের পুনে  জেলার সাতজন এবং তানজানিয়া  থেকে দিল্লিতে  আসা একজন সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন এই তালিকায়। পশ্চিমবঙ্গে এখনও ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টের কেস পাওয়া যায়নি।এই রাজ্যে না দেখা দিলেও সতর্কতা এবং ভারত সরকারের জারী করা আগের কোভিড বিধি কঠোরভাবে মাণ্য করে চলতে হবে।