নিজস্ব প্রতিবেদন
দিল্লিতে কংগ্রেসের কার্যকরি কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সোনিয়া গান্ধি। দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে শনিবার বৈঠকে সোনিয়া স্পষ্ট জানালেন কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভাপতি থাকবেন তিনিই। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াল রাহুল গান্ধী। সেই থেকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী-র দায়িত্ব পালন করছিলেন সোনিয়া গান্ধি।
শেষ কয়েক বছর বার বার কংগ্রেসের স্থায়ী সভপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ২০২০-র আগস্টে দলের ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা সোনিয়া গান্ধীকে সরাসরি ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। এদিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও কপিল সিব্বল-সহ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা সাংগঠনিক রদবদল তথা সভাপতি পদে কাউকে স্থায়ীভাবে নির্বাচিত করার দাবীতে সরব ছিলেন। এর জবাবে সনিয়া গান্ধী বলেছেন, পুরো সংগঠনেরই পরিবর্তন দরকার। তবে তা করা হবে দলের ঐক্য ও স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই।
২০২০-র মার্চে করোনা মহামারী ঘোষণার পর এই প্রথম কংগ্রেসেরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বৈঠকে ৫৭ জন সদস্যের মধ্যে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও ছিলেন রাহুল গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং ছত্তিশগড় ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসে বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত জি-২৩ নেতাদের কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন।বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে সোনিয়া বলেছেন, দলের যে কোন ব্যাপারে সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে মুখ না খুলে দলের মধ্যেই আলোচনা করা উচিৎ
নইলে তা শৃঙ্খলা পরিপন্থী হয়। সোনিয়া বলেন, আমি সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের পক্ষপাতী। মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।’ ২০২২ সালের অক্টোবরের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে বলেও এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্তর কথাও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত: গত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করলেও তাকেই সভাপতি হিসেবে চাইছেন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। গতবছর ডিসেম্বরে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা দাবি করেছিলেন, ৯৯.৯৯ শতাংশ কংগ্রেস কর্মীই চাইছেন রাহুল গান্ধীকে। জানুয়ারিতে দিল্লির প্রদেশ নেতৃত্ব তাঁকে সভাপতি চেয়ে প্রস্তাবও পাশ করে। এদিনের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমেই দলের সভাপতি নির্বাচিত হবে।