বিশেষ প্রতিনিধি
সম্প্রতি কলকাতার এক নারীর সাথে হোয়াটসআপ ভিডিও চ্যাটে উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব  সানিউল কাদেরের  ওই যৌন কেলেঙ্কারী ফাঁস হয়।

এই আপত্তিকর চ্যাট ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিওর আপত্তিকর এই  চ্যাট-র সত্যতা যাচাই করা না গেলেও, ডেপুটি হাইকমিশনের হেড অব  চেঞ্চুরী বলেছেন এমন ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সানিউল কাদেরের সাথে যোগা যোগ করা হলে তিনি এই ঘটনাকে ভিডিও সুপার এডিট বলে দাবী করছেন।

সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ চ্যাট কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়া কলকাতার ওই  নারীর নাম আলিসা মাহবুব। এই নারী সম্প্রতি কলকাতাস্থ বাংলদেশ হাইকমিশনের ফেইসবুক ইনবক্সে একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন, যেখানে দেখাযায় কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) সানিউল কাদেরের সঙ্গে তিনি আপত্তিকর ভিডিও চ্যাট করছেন। এ ব্যাপারে সানিউল কাদের বিষয়টিকে পুরো অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ভিডিও চ্যাটে স্পষ্টত দেখা য়ায় আপনাদের দু’জনের সন্মতিতেই এই অপকর্ম হচ্ছে,  কি  বলবেন ? এমন   প্রশ্ন করা হলে তিনি এব্যাপারে কোন জবাব দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে উপ-হাইকমিশনের  এইচ ও সি  শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি -র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটির সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরূদ্ধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে আরও কোন তথ্য থাকলে  তাকে দেয়ার  জন্য অনুরোধ  করেন ।

বিষয়টি মূহুর্তেই ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন বড়িষ্ঠ কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বরা  বলছেন, এই রকম ঘটনা প্রমাণিত হলে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ, না হলে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি  নেতিবাচক হবে।

প্রসঙ্গত:  সানিউল কাদের  ছয় মাস আগে কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনে নতুন যোগদান করার পর  উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের নির্দেশে একটি অবৈধ অর্থ লেন-দেন কেলেঙ্কারির সাথেও  সম্পৃক্ত হন।  জানা গেছে,  বিষয়টি ছিল উপ-হাইকমিশনের ভিসা সংক্রান্ত একটি কাজের বরাত।  ৯০ কোটি টাকার আয়ের জন্য  মাত্র এক লক্ষ টাকার  কাজ  দরপত্র  ছাড়াই  মাত্র আট মাসের একটি  অখ্যাত কোম্পানীকে বরাতটি দেয়া হয়।  কাজের বরাদ্দ-র ওই চুক্তিপত্র সহ বিভিন্ন কাগজে হাইকমিশনারের সাথে  যুগ্মসাক্ষর করেন সানিউল।  জানায়ায়, উপ-হাইকমিশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বা এইরকম যেকোন গুরুত্বপূর্ণ দলিল  সম্পাদন, চুক্তিপত্রে  নিয়ম আনুযায়ী উপ-হাইকমিশনারের সাথে যৌথ সাক্ষর করার কথা উপ-হাইকমিশনে দায়িত্বে থাকা হেড অব  চেঞ্চুরী (এইচ ও সি)-র। কিন্তু এই নিয়ম মাণ্য না করে  তড়িঘড়ি করে অজানা কারণে  সানিউল কাদেরকে দিয়ে  সাক্ষর  করানো হয় ( দরপত্র আহবান না করা)  ওই বরাত পত্রে  । এই অনিয়মের ব্যাপারে  জানার জন্য কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সাথে  কয়েকবার  যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।