এম এ রহিম, বেনাপোল  

বেনাপোল সিমান্ত (বাংলাদেশ) দীর্ঘ দেড়বছর বন্ধ থাকার পর আবারো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। গত তিন দিনে ভারত থেকে ১০৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার (২০ মার্চ) ৮৫০ মে. টন ৮৭৮ কেজি, সোমবার (২১ মার্চ) ১৭৫ মে. টন ৪৪০ কেজি ও মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ৬৫ মে.টন  পেয়াজ আমদানি করেছে বাংলাদেশ।  বন্দর থেকে ইতোমধ্যে এসব পেঁয়াজ আমদানিকারকের আড়তে পৌঁছে গেছে।এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির খবরে বাংলাদেশর স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা আগমী মাসেই মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। তার আগে পিয়াজের আমদানি হওয়ায় ক্রতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে বেশ উৎফুল্ল দেখা দিয়েছে। তাছাড়া, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেয়াজ দ্রুত  খালাসেরও  নির্দেশনা দিয়েছেন বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

পেঁয়াজ আমদানিকারক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পেঁয়াজের প্রকারভেদে প্রতি মেট্রিক টন ১১১ ডলার থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে। কাস্টমসে ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ প্রতিকেজি পেঁয়াজের ডিউটি প্রদান করতে হচ্ছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা। নাসিকের পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর থেকে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকা ও হাসখালী পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকায়।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স গাজী এন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আবু জাফর জানান, আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এতে পূর্বের এলসির ক্রয়কৃত পেঁয়াজ দ্রুত আমদানি শেষ করতে হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা অনেকটা লোকসানের মুখে পড়বেন।পাইকারি পেঁয়াজ ক্রেতা মুজিবর রহমান জানান, আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে এক দিনেই দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। যেভাবে আমদানি বাড়ছে আরও দাম কমে আসবে।সাধারণ ক্রেতা জাবির বলেন, দুই দিন আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। আমদানির খবরে এখন কেজি ২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, এক বছরেরও বেশি সময় পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ১০৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসজুড়ে পিয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানু্ষ বেশ উপৃকত হবেন বলেই জানান মামুন কবীর।