এম এ রহিম, বেনাপোল
বেনাপোল সিমান্ত, বাংলাদেশ : ,ভারত থেকে আসা বৈধ ট্রাকে মাদক দ্রব্যসহ ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আটকের পর বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দুটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বন্ধকরে দেয়া ছাড়াও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। অবিলম্বে সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কাস্টমসের সামনে গত চারদিন অবস্থান কর্মসুচি পালন করছে বন্দর ব্যাবহারকারী ৫টি সংগঠনের নেতা কর্মিরা। ফলে বেনাপোল- পেট্টাপোল স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে প্রায় ৭হাজার পণ্যবাহি ট্রাক। নষ্ট হচ্ছে পচন্শীল পণ্য। গত ৪দিন দু’দেশের প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। উপর্যুপরী কর্মবিরতির ফলে দুদেশের বন্দর ও কাস্টমস এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার সুরাহে রবিবার বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও ভারতের পেট্টাপোল কাস্টম ও বিএসএফের সাথে পৃথক বৈঠক হয়েছে বলে জানান স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।বন্দর ও কাষ্টম সংশ্লিষ্টরা জানান ,গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্স (শুল্ক মুক্ত) এর মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্স এর ট্রাকে বিশেষ ভাবে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার
বাংলা মদ, ফেন্সিডিল, শাড়ি, থ্রিপিচ, বিদেশী সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয়পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনর সাথে ভারতীয় ড্রাইভারের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও ট্রাকসহ ড্রাইভারকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক
ঢাকাস্থ অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড ও ফ্যাশান ফোরাম লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এঘটনায় বুধবার বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সী ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুইটি সিএন্ডএফলাইসেন্স সাময়িক বাতিলসহ সিএন্ডএফের কর্মচারিদের নামেও মামলা করেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যাবসায়িরা-গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের লোকসানএই ঘটনা সমস্ত ক্ষতিপূরণসহ সিন্ডএফ লাইসেন্স এর আদেশ স্থগিত সহ মামলা প্রত্যাহার না হলে আরো বড়ধরণের কর্মসুচির দেয়া হবে বলে বেনাপোল আমদানি রফতানি কারক সমিতি সভাপতি মহাসিনমিলন ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান। অতিদ্রুত এর সুরাহা চান তারা।
বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্স-র পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় আটক হচ্ছে অবৈধ পণ্য। দুই পারের চোরাই সেন্টিকেট গড়ে ওঠাসহ বন্দর কিছুসিস্টেম লসের কারনেই ঘটছে এই ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাবসায়িরা। ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের সুনাম। দুরত্ব বাড়ছে কাস্টমস ওবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে। তবে অনেক রাঘব বোয়ালরা এর সাথে জড়িয়ে পড়ায় একের পর অবৈধ চালান আটক হলেও আইনের ফাঁক গলিয়ে উতরে যাচ্ছে জড়িতরা। তবে বন্দরের একাটি সুত্রের দাবী-কাষ্টমসের সাথে আইনি লড়াই চালিয়ে গেলে লাভবান হতো ব্যাবসায়িরা। তাদের সাথে কমত দুরত্ব। প্রকৃত ব্যাবসায়িরা এসব ঘাপলার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। কোন অবৈধ পন্য আটক করলে বিধি মোতাবেম লাইসেন্স বাতিল করা হয়। মুল রহস্য উদঘাটন করতে
মামলা করা হয়েছে। তবে সিএন্ডএফের কর্মবিরতিটি বধগম্য নয়-কর্মকর্তারা বসতে চাইলে আলোচনার পথ খোলা আছে বলে জানান বন্দরের কাস্টমস কর্তা আব্দুল রশিদ রবিবার বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি বলেও জানান কাষ্টম সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য,ভারতীয় এক শ্রেণীর ট্রাক চালকরা অর্থের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বৈধ আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালানী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করে আসছে। এর আগে অসংখ্য ট্রাক অবৈধ মালামালসহ বেনাপোল কাস্টমস বিজিবি‘র হাতে ধরাও পড়েছে। অপরদিকে পেট্রাপোল বিএসএফ ও পুলিশ ভারতীয় ট্রাক এর মধ্য থেকে সোনা,