শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর:- তিন মাস ধরে ব্যাঙ্ক আর সাইবার ক্রাইম থানার দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে ‘পায়ের চটি ছিঁড়ে গেলেও’ কোনও সুরাহা হয়নি! বরং, অথর্ব স্বামী আর শারীরিক-প্রতিবন্ধী (বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন) পুত্রকে নিয়ে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে জেলা শহর মেদিনীপুরের বছর ৫০ এর মহিলার। অভিযোগ, স্বামীর পেনশনের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকা মাত্রই সেই টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে গত দু-মাস ধরে!
                         
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের লালদিঘী এলাকার বাসিন্দা মনিকা দাস এমনই মারাত্মক অভিযোগ করলেন বৃহস্পতিবার। চলতি বছরের মার্চ মাসেই প্রথমবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় স্বামী রবীন্দ্রনাথ দাসের পেনশনের ২৪,৯০০ টাকা। এর পরেই, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রাজাবাজার শাখায় ছুটে যান ওই প্রৌঢ়া।
সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফে। এরপর, মাঝে একটা মাস বাদ দিয়ে, ফের মে মাসে উধাও হয়ে যায় স্বামীর পেনশনের টাকা। অতিমারীর মধ্যেই মাথায় হাত পড়ে মহিলার! ফের ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হলে, থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। থানা থেকে মহিলাকে পাঠানো হয় ফের ব্যাঙ্কেই! সেই থেকেই প্রায় নিত্যদিন ব্যাংক ও থানার মধ্যে চক্কর কাটছেন মনিকা দাস। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি বলেই জানান ওই মহিলা।
                           
বছর ২০’র একমাত্র পুত্র সমীর-ও সম্পূর্ণরূপে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার! চরম সঙ্কটে পড়া ওই মহিলার অভিযোগ, “মাস দুয়েক ধরে প্রতিবন্ধী ছেলের ভাতা বাবদ প্রাপ্য টাকাও উধাও হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।” এভাবে, জালিয়াতির ফলে ভাঁড়ার শূন্য মহিলার পরিবারে। করোনা কালে দিনগুজরান হবে কীভাবে, সেই দুঃশ্চিন্তায় ঘুম উড়ে গেছে গোটা পরিবারের। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা। মহিলার নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়েই কি এমন জালিয়াতি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, মুখ খুলতে নারাজ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ
*Disclaimer-Voiceofcalcutta has not verified this news, It is from the source and our correspondent Santunu pan analysis based. If you have any objections the write us at voiceofcalcutta@gmail.com.