নিজস্ব প্রতিবেদন বিজেপি বিরোধিতার প্রধান নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতৃত্বর মধ্যে সম্প্রতি তীব্র চাপান উতর চলছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙিয়ে নেতাদের দলে নিচ্ছে তৃণমূল। আবার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে নানা ইস্যুতে বারবার আক্রমণ করে চলেছেন মমতা। ইতোপূর্বে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোট গঠন করা নিয়ে প্রকাশ্যেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে কয়েকবার বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মমতার এই ভূমিকাকে কংগ্রেস যে ভাল ভাবে নিচ্ছে না তা বেশ কিছু কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছিল। তাই কংগ্রেস এবার মমতার পাল্টা হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নানা ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যখন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তখন তুলনামূলকভাবে উদার অবস্থান নিয়েছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে কংগ্রস সব সময়ই নরম ও সৌজন্য বোধকে গুরুত্ব দেয়া, তাই পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূলের জন্য এই রাস্তায় অবস্থান নিয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। তারই ধারাবাহিকতায় মমতার বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকে মুখ হিসেবে তুলে ধরার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে কংগ্রেসের। সেই কারণে গোয়াতে যখন লাগাতার বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল, সেখানেই তার পাল্টা কংগ্রসের মুখ প্রিয়াঙ্কা গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এমনকি আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচের তালে পা মিলিয়েছেন। রাজনৈতিক কারবারিদের চোখে এই ঘটনা কাকতালীয় বলে মনে হলেও এর পিছনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলেই বলেই মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংকট আরও প্রকট হয়েছে যখন রাজ্যসভা থেকে কংগ্রেস সহ ১২ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের একটি বৈঠক বসল সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে। সেই বৈঠকে ডাক পেল না তৃণমূল কংগ্রেসকে ডাকা হয়নি, কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি ওই বৈঠকে ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, শিবেসনার সঞ্জয় রাউত, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি সহ ডিএমকে, ন্যাশনাল কন্ফারেন্স নেতৃবৃন্দ।
সংসদের গত অধিবেশনে বিরোধী সাংসদদের বিশৃঙ্খল ব্যবহারের জন্যই এবার শীত অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই বিবৃতিতে তৃণমূলের নামই উল্লেখ করেনি কংগ্রেস। তাতে প্রবল গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এর পাল্টা হিসেবে কংগ্রেসকে উল্টো চাপও দিয়েছে তৃণমূল।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের বাসবভনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কোথায় ইউপিএ? এর কোনও অস্তিত্বই নেই। তৃণমূল নেত্রীর ওই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। তার এই বৈঠকে তৃণমূলের ডাক না পাওয়া সেই ফাঁক আরও বড় হলো বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে তৃণমূলকে না ডাকা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎর্যপূর্ণ। কারণ এতদিন দেখা যাচ্ছিল কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধিতার মূল দায়িত্ব হাতে নিতে চাইছিলেন মমতা। আজ দেখা গেল সোনিয়ার নিজের উদ্যোগে বৈঠক হচ্ছে। সেথানে রাহুল গান্ধী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু নেই তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলকে ওই বৈঠকে না ডাকায় বিরোধী ঐক্যে ফাটলের বিষয়টি স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়াতে আসাম, ত্রিপুরা, হরিয়ানা, মেঘালয়, ও গোয়ার মত রাজ্যগুলিতে পা ফেলেছে তৃণমূল। বেশিরভাগ রাজ্যেই কংগ্রেস থেকে ভাঙ্গিয়ে আনা নেতাদের নিয়ে সম্বৃদ্ধ করছে তৃণমূল। সেইসব রাজ্যে কংগ্রেসও ব্যাপকভাবে জাপিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকি আগামী দিনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেও যে সব রাজ্যগুলিতে দলের প্রচারে যাবেন সেই সব রাজ্যগুলোতে দলের হয়ে পাল্টা মাঠে নামতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে মমতা এই মূহুর্তে অন্যতম মহিলা মুখ, তাই মমতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে কংগ্রেসর মুখ হিসেবে সনিয়া কণ্যা প্রিয়াঙ্কাকের উপরই ভরসা করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বরাবরই স্বীকার করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা, রাহুলের তুলনায় তিনিই বিকল্প। সেই মমতা-প্রিয়াঙ্কা দ্বৈরথের সম্ভবনাই এবার প্রকট হচ্ছে।
রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কংগ্রেস সহ ১২ বিরোধী সাংসদ। এরকম এক পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের একটি বৈঠক বসল সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে। সেই
বৈঠকে ডাক পেল না তৃণমূল কংগ্রেস।গ্রেস নেতাদের পাশাপাশি ওই বৈঠকে ছিলেন শরদ পাওয়ার, শিবেসনার সঞ্জয় রাউত, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিরা। এছাড়াও ছিলেন ডিএমকে, ন্যাশনাল কন্ফারেন্স নেতারা।
সংসদের গত অধিবেশনে বিরোধী সাংসদদের বিশৃঙ্খল ব্যবহারের জন্যই এবার শীত অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই বিবৃতিতে তৃণমূলের নামই উল্লেখ করেনি কংগ্রেস। তাতে প্রবল গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এর পাল্টা হিসেবে কংগ্রেসকে উল্টো চাপও দিয়েছে তৃণমূল।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের বাসবভনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কোথায় ইউপিএ? এর কোনও অস্তিত্বই নেই। তৃণমূল নেত্রীর ওই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। তার এই বৈঠকে তৃণমূলের ডাক না পাওয়া সেই ফাঁক আরও বড় করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আজ বিরোধীরা এককাট্টা হলেও কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করেন, কেউ বিরোধিতা করে। কেউ কৃতিত্ব নেয়। সংসদের ভেতরে ও বাইরে কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয় তার ধারনা আছে। কিন্তু কিছু দল তার কৃতিত্ব নিচ্ছে। দেখে বেশ মজা লাগছে।
আজকের বৈঠকে তৃণমূলকে না ডাকা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ এতদিন দেখা যাচ্ছিল কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধিতার মূল ব্য়াটন হাতে নিতে চাইছিলেন মমতা। আজ দেখা গেল সোনিয়ার নিজের উদ্যোগে বৈঠক হচ্ছে। সেথানে রাহুল গান্ধী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু নেই তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, দলের সাংসদদের বরখাস্ত করা নিয়ে বিরোধীদের কী পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এবং শীতকালীন অধিবেশনের বাকী দিনগুলিতে কীভাবে এগোবে বিরোধীরা। কিন্তু তৃণমূলকে ওই বৈঠকে না রাখা বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরার দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করা হচ্ছে।