বঙ্গবন্ধু-র জন্মশতবার্ষিকি- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএসএফ ও বিজিবির বিজয় উৎসবে মানুষের ঢল।
–বেনাপোল সিমান্ত থেকে মো: আব্দুর রহিম
বেনাপোল সিমান্ত : বাংলাদেশের জাতিররপিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুররহমান-র জন্মশতবার্ষিকী, মহানস্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ভারত মৈত্রির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপণ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সিমান্ত রক্ষাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান। পেট্রাপোল ও বেনাপোলে-র শুণ্যরেখায় দু’দেশের সিমান্তরক্ষা বাহিনীর আয়োজিত বর্ণাঢ্যময় ওই আনুষ্ঠানটি মুলত: মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। অভূতপূর্ব এই অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষ ভ্রাতিত্ব আর সৌহার্দ্যবোধের অদম্য তাগিদে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল দৃশ্যত যেন দুইবাংলার মানুষের মাঝে সীমারেখার কোন ভেদাভেদ ছিলনা।
বৃহস্মপতিবারের এই মহা অনু্ষ্ঠানে দুইদেশর সিমান্তরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সদাশয় অংশগ্রহণ দিবসটি সিমান্তাবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিহগলের বাশির সুরের মায়াবী মূর্ছনা, কুচকাওয়াজ আর দুইদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা হয়। পরে বিজেবি ও বিএসএফ-র পক্ষথেকে ফুলের তোড়া আর মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে দু’দেশের রক্ষা প্রধানদের বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় সিমান্ত এলাকায় আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠনে অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে ভারতের কলকাতা বিএসএফ-র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) রাজেশ কুমার ও বিএসএফ ১৭৯ ব্যাটলিয়ান সিও নিজাম উদ্দিন, বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি)-র দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল যশোর রিজিওন-র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর সাদি, খুলনা সেক্টরকমান্ডার কর্ণেল মামুনুর রশিদ, যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সেলিম রেজা।
স্বাগতিক বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর সাদি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি এখন আরও উচ্চাসনে পৌছেছে যা এখন দু’দেশের জনগণের মধ্যে নৈকট্য আর ভাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করেছে। দিনে দিনে এই সম্পর্ক আরো বাড়তে থাকবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণের সহযোগিতা বৃথা যায়নি। তাদের ঋণ বাংলাদেশের জনগণ চিরদিন স্মরণ করবে।
কলকাতা বিএসএফ-র ডিআইজি রাজেশ কুমার বলেছেন, আজকের এই মহান দিবসটির তাৎপর্যের ব্যাপকতা রয়েছে, দু’দেশের জনগণই এই তাৎপর্যকে গুরুত্বের সাথ মনে রাখবেন। সিমান্তবাসীদের সহায়তায় আমরা সিমান্ত রক্ষায় এক যোগে কাজ করে যাবো।
এদিন বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যাপর্যন্ত অব্যাহত থাকে। আন্তর্জাতিক সীমারেখায় আয়োজিত এমন চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটি দু’দেশের হাজারো মানুষ উপভোগ করেছেন।
রহিম- বি