ভিওসি রিপোর্ট
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নজিরবিহীন বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভের ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিধানসভার অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার অধিবেশনের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শেষে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী দুর্নীতি ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব আনতে স্পিকারের অনুমতি চান। স্পিকার বিষয়টি বিচারাধীন বলে দাবি করে সেই অনুমতি খারিজ করে দেয়। তার পরই বিজেপির বিধায়করা রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পোস্টার দেখিয়ে শ্লোগান দিতে শুরু করে। সাম্প্রতিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রসঙ্গ তুলে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় বিজেপি বিধায়কদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল ‘চোর ধরো জেল ভরো’ লেখা পোস্টার।মুলতবি প্রস্তাব খারিজ করার পরই বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। এক সময় বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে।
পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরাও পাল্টা শ্লোগান দিতে শুরু করে। পোস্টার নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমূল সদস্যরা। তৃণমূল বিধায়করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে পোস্টার দেখাতে শুরু করে। তাদের পোস্টারে লেখা ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতির গল্প’, কোথাও ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সি অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে মিছিলও করেন।
এদিকে বিজেপির তরফে বিধানসভার অধিবেশন ওয়াক আউট করার কিছু পরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তারপর তৃণমূল বিধায়করাও বিধানসভা ত্যাগ করেন।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, বিধানসভার স্পিকার কক্ষ ত্যাগ করেছেন বলেই তারাও বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। তবে তারা ওয়াকআউট করেন নি। তৃণমূলের দাবি বিরোধীদের হট্টগোলে বিধানসভা কক্ষ উত্তাল হয়ে উঠেছে বলেই স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করে বেরিয়ে যান।