ভিওসি রিপোর্ট

কংগ্রেসের  ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরুর দিন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন  আসমের  মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কংগ্রেসের কাঙ্খিত “ভারত জোড়ো যাত্রা’কে কটাক্ষ করে এটাকে শতাব্দীর সেরা কৌতুক হিসেবে আখ্যায়িত করলেন । পাশাপাশি, তিনি কংগ্রেস নেতা রহিল গান্ধীকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গিয়ে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করার পরামর্শ দিয়েছেন।তা হলে আমরা আবার অখন্ড ভারত পাবো!

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করছিলেন।

বুধবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিমন্ত বলেন, এদেশে ভারত জোড়ো যাত্রাযর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা এক ঐক্যবদ্ধ ভারতে বসবাস করছি। ভারত একমাত্র ১৯৪৭ সালে বিভক্ত হলে পাকিস্তান নামের দেশের জন্ম হয়। রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস সেই বিভাজন হতে দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে  হিমন্ত খোঁচা মেরে রাহুলকে  পরামর্শ দেন, তিনি যেন পাকিস্তানে যান এবং সেখান থেকে ভারত জোর যাত্রার সূচনা করেন। তা হলে মানুষ একটা ভারত পাবে যা দেশভাগের আগে পাকিস্তান বাংলাদেশ সহ অখণ্ড ছিল। তিনি টুইট করে বলেন,  আমরা যে ভারতে আজ বাস করি সেটা প্রাণবন্ত, বলিষ্ঠ এবং ঐক্যবদ্ধ। একমাত্র ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়েছিল এবং কংগ্রেস এতে সম্মতি দিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর বরং পাকিস্তানে যাওয়া প্রয়োজন, যদি তারা এক হতে চায়, তা হলে সেখানে তার ভারত জোড়ো অভিযান শুরু করা উচিত।উল্লেখ্য, “ভারত জোড়ো যাত্রা” কংগ্রেসের সাম্প্রতিককালে এক বৃহৎ রাজনৈতিক প্রয়াস। ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে সূচনা হয়েছে এবং শেষ হবে ২টি রাজ্য ছুঁয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে। থাকবে দু’টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলও।হবে।

কংগ্রেসের ওই জবাবে  ”ভারত অটুটই রয়েছে। আমরা এক জাতি। কংগ্রেস ১৯৪৭ সালে ভারতকে ভেঙে দিয়েছিল। যদি রাহুল গান্ধীর কোনও অনুশোচনা থাকে যে তার দাদু ভুল করেছেন, তাহলে ভারতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করে কোনও লাভ নেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশকে ফের যুক্ত করে ‘অখণ্ড’ ভারতের জন্য কাজ করুন।”

উল্লেখ্য, বুধবার তামিলনাড়ুতে ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করছেনন রাহুল গান্ধী। ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫০ দিনে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মিছিলের যাত্রাপথের সবথেকে বেশি অংশ রয়েছে কেরল, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায়।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পায়ের তলায় হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়েই কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন এই উপলক্ষেই প্রশ্ন করা হয় আসমের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তখনই হিমন্ত  উপরিউক্ত প্রতিক্রিয়া জানান।

সোমবারই ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোট ৭ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রয়েছে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি চুক্তিও। এই পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে বিতর্ক তৈরি করলেন হিমন্ত।