দিব্যেন্দু গোস্বামী, বীরভূম প্রতিনিধি

বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে সকালেই বেরিয়েছিল পড়ুয়া। রাতেও একদল যুবকের ‘লালসার’ শিকার বীরভূমের নানুর থানা এলাকার এক পড়ুয়া। ঠাকুর দেখে ফেরার পথে অজ্ঞান করে তাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। সকালে বাড়ী ফিরে ঘটনা জানাজানি হতেই গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কণ্যাটি । বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। বাবা দিনমজুরের কাজ করে। কষ্টের মাঝে কোনওরকম চলে তাদের সংসার।

নির্যাতিতার পরিবার সুত্রে জানা যায়, এলাকায় বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে জমজমাট মেলা চলছিল। গতকাল সকালে নিজের স্কুটি নিয়ে সেই মেলা দেখতে গিয়েছিল পড়ুয়া। এক বান্ধবীর সঙ্গে সেখানে ঠাকুর দেখতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। রাতে মাঠে রাস্তায় তার পথ আটকায় চারজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা অজ্ঞান করে ফেলে ওই ছাত্রীকে। এরপর টানতে টানতে নিয়ে যায় ফাঁকা নির্জন জায়গায়। একে-একে চারজন ধর্ষণ করার পর সেখানেই তার স্কুটি এবং তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। সকালে জ্ঞান ফিরতে ছাত্রী দেখতে পায়, তার শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন দিয়ে চুঁয়ে পড়ছে রক্ত। জামাকাপড় ছেঁড়া। কার্যত অসহায় অবস্থায় মোবাইল এবং স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে পড়ুয়া।

বাড়ি ফিরে পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানানোর পর অপমানে সবার অলক্ষ্যে গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি। বাড়ীর লোক দেখতে পেয়ে কোনও মতে প্রাণ বাঁচায় তাকে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা সিয়ান হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই ছাত্রী। ছাত্রীর মা জানান, আমাদের আশঙ্কা মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে। সকালে যখন ও বাড়ি এসেছিল তখন ওর জামাকাপড় অজস্র জায়গায় ছেঁড়া ছিল। রক্তাক্ত ও ছিলো। কারা তার সঙ্গে এসব করেছে তা মনেই করতে পারছে না মেয়ে।