নিজস্ব প্রতিবেদন
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন “বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই তল্লাশি করতে বলব। টাকার পাহাড় পাবে। তল্লাশির সময় আমরা সঙ্গে থাকব, দেখিয়ে দেব, কার কোথায় ক’টা ফ্ল্যাট রয়েছে।”
সোমবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাবের ভাষণের শুরুতেই নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “পুরুলিয়ায় কত টাকায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি হয়েছিল?” উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন দীর্ঘদিন পুরুলিয়ার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “সিআইডিকে এত ভয় কেন?”
এই তীর্যক আক্রমণের ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যেই বিধানসভায় সৌজন্যের রাজনীতির নজির দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় শাসকদলের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়কদেরও হাত জোড় করে শারদ শুভেচ্ছা জানান মমতা। শাসকদলের বেঞ্চের সামনে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এরপর সোজা চলে যান বিরোধী বেঞ্চের দিকে। সেইসময় উঠে দাঁড়িয়ে সৌজন্য দেখিয়ে প্রতি নমস্কার জানান বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী বিধায়করা।
সিবিআই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নিয়ে কার্যত নরম সুর ছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “এখন সিবিআই আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হাতে নেই। ওটা এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। আমি বিশ্বাস করি, এই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত নেই। বরং বিজেপি নেতাদের হাত রয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ইডি-সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু ওদের নিরপেক্ষ হতে বলব।” গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ আইনসভা-বিচারবিভাগ এবং সংবাদমাধ্যম। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বিচারবিভাগকে করায়ত্ব করার চেষ্টা চলছে। মমতার দাবি, “বর্তমানে দেশে যে শাসন চলছে তা মুসোলিনি-হিটলার-স্ট্যালিন শাসনকালের চেয়েও ভয়ঙ্কর।”