দিব্যেন্দু গোস্বসামী, বীরভূম থেকে
রামপুরহাট: “কংগ্রেস ছাড়া সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত ভারত ভাবা যায় না। কংগ্রেসের মূল আদর্শ সম্প্রদায় -জাত -পাত বিহীন এক আদর্শ ভারত বর্ষ। বিজেপি সেটাই নষ্ট করতে চাইছে”।-রামপুরহাটের পুরসভার মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে জেলার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সাংসদ ও বিরোধী দলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধূরী উপরিউক্ত কথা বলেছেন।
এদিন অধীরবাবু বলেন, আমি জানি বীরভূমের একটা অংশের মানুষ অনেকেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ভেবে দেখবেন! বিজেপি কোনো দিন স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিজেপির প্রাণপুরুষ সাভারকার থেকে সবাই চেয়েছিল ভারত ব্রিটিশের অধীন পরাধীন থাকুক। ব্রিটিশ থাকুক। তাহলে হিন্দু স্বার্থ বজায় থাকবে। তাই নেতাজী যখন মহাত্মাগান্ধীর আশীর্বাদ নিয়ে “দিল্লি চলো” ডাক দেন। তখনও এই হিন্দু মহাসভা অর্থাৎ বিজেপির জনক নেতাজীর বিরোধিতা করে। আজ ” নেতাজীকে ” বিজেপি বানাতে চাইছে মোদীরা। স্বচ্ছ ভারতেও মহাত্মা গান্ধীর চশমার ছবি দিয়ে তাঁকেও বিজেপি বানাতে চেয়েছে। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি বানিয়ে তাঁকেও বিজেপি বানাতে চাইছেন মোদী অমিত শাহরা। কিন্তু ভেবে দেখবেন, আর এস এস মহাত্মাগান্ধীকে হত্যা করার পর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই আর এস এসকে নিষিদ্ধ করেছিল। আজ বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।কংগ্রেস আদর্শের দল। আদর্শের অভাব নেই। আমাদের হাইজাক করতে হয় না। বিজেপি সবাইকে হাইজাক করতে চায়। কিন্তু কোনোদিন মোদীর মুখে দেশের জন্য জওহরলাল, ইন্দিরাগান্ধী বা রাজীব গান্ধীর অবদানের কথা শুনতে পাবেন না। আজ তেরঙ্গা নিয়ে নাটক করছে বিজেপি। কিন্তু ভেবে দেখবেন, তেরঙ্গায় বিশ্বাস নেই ওদের। ওরা তেরঙ্গা, সংবিধান কিছুই মানে না। বিজেপির পিতা আর এস এস। তাদের কেন্দ্রীয় দফতর নাগপুর। সেখানে বাহান্ন বছর তেরঙ্গা ওঠে নি। ওরা তেরঙ্গা মানে? ওরা আজ নেতাজীর কথা বলছে। দেশকে যদি ভাগ করে থাকে, তা হলো হিন্দু মহাসভা আর জিন্নাহর মুসলিম লীগ। কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কংগ্রেসের স্বাধীনতার ইতিহাস আছে। বিজেপির নেই। বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস আছে। আজ ক্ষমতার জোরে ইতিহাস পাল্টাতে চাইছে।