এম এ রহিম- বেনাপোল-সীমান্ত-বাংলাদেশ
ভারতের পেট্টাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তের জিরো লাইনে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে। শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভারত বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল ও পেট্টাপোল সীমান্তের জিরো লাইনে বাংলাদেশ ও ভারতের ভাষা প্রেমী মানুষের অংশগ্রহণ যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঠায় ঘন্টাখানেকের জন্য থমকে দাড়ায় পুরো সীমান্ত এলাকা। বন্ধ থাকে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার । প্রতি বছর অমর ২১ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ-ভারত ২১মঞ্চে অনুষ্টিত হলেও এবার যৌথ অনুষ্ঠান মঞ্চ নির্মিত হয়নি। শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভারত ও বাংলাদেশের ২১জন প্রতিনিধি। একে অপরকে মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শহীদ বেদী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষাথীরা। উপস্তিত ছিলেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন-কাস্টম কমিশনার আজিজুর রহমান,শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মজ্ঞু, নির্বাহি কর্মকর্তা আলিফ রেজা, ওসি রাজু আহম্মেদ, কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাক্ষ ইব্রাহিম খলিল, অহিদুজ্জামান অহিদ, সালেহ আহম্মেদ মিন্টু ,পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আলী কদর সাগর ,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস, সাবেক সংসদ সদস্য মমতা ঠাকুর, তৃনমুলের জেলা সভাপতি আলোরানী সরকার-সহ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
সীমান্তর এই অনুষ্ঠানে আসা কাকুলি রায়, জয়দেব সরকার ও মৌটুসি দাস বলেন প্রতিবছর ভাষা ও নাড়ীরটানে সীমান্তে আসেন তারা। দেখাহয় স্বজনদের সাথে, কথা হয় মায়ের ভাষা বাংলায়। এ এক অন্যরকম অনুভতি। এবার করোনা সবকিছুকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে। তবে সীমান্তে দু দেশের প্রতিনিধিরা একই সাথে ফুলদিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো এটাই আনেক শান্তি আমাদের।
পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও শ্রমিক নেতা জেলা পরিষদ সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, বিশ্বের ১৮৮ দেশে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। ভা মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্য ও ভাষাকে প্রতিষ্টিত করার জন্য যারা জীবন দিয়েছে। দেশকে বিশ^বাসির কাছে পরিচিত করেছে ও বাড়িয়েছে আতœ সমন্মান। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মাগফেরাত কামনায় এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসিম। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার যে ত্যাগ ও ভাষার প্রতি রয়েষে মমর্তবোধ এ ধারাবাহিকতায় বিশে^ বাংলা ভাষার মর্যাদা বেড়েছে। প্রতিবছর সীমান্তে পালিত হয় ভাষার দিবসের অনুষ্টান। মায়ের ভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে সীমান্তে ছুটে আসেন তারা। তবে এবারের ভিন্ন পেক্ষাপট থাকায় সিমিত পরিসরে পালন করা হ”েছ এতেই খুশি তারা।
করোনার কারনে ২১অনুষ্টান সিমিত করা হয়েছে। দু দেশের ১০জন করে সীমান্তের অ¯’ায়ী শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আলীফ রেজা।
বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারত বিশ^জিত দাস বলেন,পূর্ব পুরুষেরা রয়েছে বাংলাদেশে। মায়ের ভাষা ও মাটির টানে ছুটে আসেন সীমান্তে। বাংলা মায়ের সন্তান। বাংলায় পায় স্বস্তি। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধপাধ্যায় ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনর আন্তরিকতায় সীমান্তে প্রতিবছর পালিত হয় ভাষা দিবসের অনুষ্টান। এপার ওপারের মানুষের মধ্যে রয়েছে নাড়ীর টান। ভাষাশহীদের শ্রদ্ধা জানাতে ছটে আসেন তারা।
৮৫যশোর-১ শার্শার সংসদ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে সৌহা ওর্দ সম্প্রীতির বন্ধন। এমপি বলেন, সীমান্ত অক্ষরেখায় প্রতিবছরই এপার-ওপার-র মানুষকে টেনে আনে ভ্রাতৃত্ববোধের একই নিশনায়।