ভিওসি রিপোর্ট

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে কলকাতায়। এ  উপলক্ষে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন-এর ‘বাংলাদেশ গ্যালারীতে-তে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তারা  বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন  এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর তাঁর জীবনের উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতের বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক শ্রী গৌতম ভট্টাচার্য এবং দূরদর্শন-এর প্রাক্তন পরিচালক শ্রী অভিজিৎ দাশগুপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশের  রাষ্ট্রপতির বাণী, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমান হোসেন  প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক)। ।বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক শ্রী গৌতম ভট্টচার্য বলেন, মাত্র ২৬ বছর বয়সী এই উপমহাদেশে কোন ক্রীড়া সংগঠক এতবড় কীর্তি গড়তে পারেননি। শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব হিসেবে অবিহিত করেন।শ্রী অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন শেখ কামাল ছিলেন যুব সমাজের মধ্যমনি। সাধারণ মানুষের সাথে খুব সহজে মিশে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার।

সমাপনী বক্তব্যে  উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস  বলেন, শেখ কামাল ছিলেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্যতম কারিগর। সদ্য স্বাধীন দেশে প্রগতিশীল নানা কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হলেও তাঁর মধ্যে কোন অহমিকাবোধ ছিল না। অত্যন্ত সাফল্যের সাথে তিনি বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে দেশ বিনির্মাণে সম্পৃক্ত হতে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ একজন দক্ষ, তরুণ সংগঠক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করে।

সবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।