গোফরান পলাশ, বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল থেকে
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ১১৪, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যক্ষ মোঃ মহিববুর রহমান তার এলাকায় নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও আগামী এক বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কলাপাড়া-কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় বাংলাদেশের পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মহাসড়কে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং মহিপুর থানা, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংকলনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন। আনুষ্টানিকতার পরে তিনি তাঁর এলাকার প্রভূত উন্নয়নের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রইং দেন। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, মহিপুর, কুয়াকাটা ও পটুয়াখালীতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি তার নির্বাচনী অঙ্গীকার, বাস্তবায়ন ও আগামী এক বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েও গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারের সভাপতিত্বে ওই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য, কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন, কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসিম, এসময় উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি মহিব গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তার আগামীর পরিকল্পনায় কলাপাড়া কে প্রশাসনিক জেলা ঘোষণা, কুয়াকাটা সী বিচের ভাঙ্গন রোধ, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় রূপান্তর, মহিপুর থানা কে উপজেলায় রূপান্তর, কুয়াকাটায় মাস্টার প্ল্যানের বাইরের জমি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আওতা মুক্ত করা, কলাপাড়া- রাঙ্গাবালী ফেরি যাতায়াত, রাঙ্গাবালী-পানপট্টি ফেরি যাতায়াত এর দ্রুত বাস্তবায়ন, দাড়চিড়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ, রাঙ্গাবালীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দ্রুত বাস্তবায়ন, সুন্দরবন-কুয়াকাটা-রাঙ্গাবালী-কক্সবাজার নৌ রুট চালু, সোনারচর-জাহাজমারা-চরহেয়ারে পর্যটন কেন্দ্রের দ্রুত বাস্তবায়ন, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালীতে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণ, মহিপুরের ২০ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায় ও কলাপাড়ার ৫০ শয্যার হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং রাঙ্গাবালীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও কোর্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জোর পরিকল্পনার কথা বলেন। এছাড়া কলাপাড়ায় প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা বিমানবন্দর ও ঢাকা-কুয়াকাটা বুলেট ট্রেন নির্মাণের সমীক্ষা শেষে বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপের কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানান।
এদিকে কলাপাড়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম কোন জাতীয় সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও আগামীর পরিকল্পনা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তুলে ধরায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।