নিজস্ব প্রতিবেদন

ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ কমছেনা। প্রতিদিনই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। বাংলার নির্বাচনে জেতার পর থেকেই ত্রিপুরা দখলের টার্গেট নিয়ে তৃনমূল কংগ্রেজ সেখানে রাজনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখে। লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা ভোট। ত্রিপুরাতে  জমি শক্ত করতে কোনও কসুর করছে না তৃণমূল । মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন নেতারা। কিন্তু বিজেপিও তাদের সাজানো জমি ছাড়তে নারাজ। আর এই নিয়েই চলছে দু’দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এর আগে তৃনমূল তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে কয়েক দফা আক্রমণের শিকার হয়েছে তাদের কর্মীরা। তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা থেকে সাধারণ কর্মী কেউই আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।বিজেপির উপর্যুপরী হামলায় গত দু’মাসে তৃণমূলের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মী আহত হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক কর্মকান্ড চলাতে গেলে ত্রিপুরা পুলিশ তাদের রাস্তার কোথাও অবস্থান করতে দেয়না বরং মহামারি আইনের আওতায় তাদের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করে অবৈধভাবে কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও তাদের সাজানো নাটক বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রজ্য বিজেপির সভাপতি।তিনি বলেন বাংলাথেকে বিমানে করে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন তৃণমূলের দ্বিতীয় সারির নেতা-নেত্রী এসে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অযথা ত্রিপুরার শান্তপ্রিয় পরিবেশকে নষ্ট করছে।

কিন্তু বিজেপির এই বক্তব্যর পর শুক্রবার আবারও ত্রিপুরায়  ‘আক্রান্ত’  হয়েছে তৃণমূল । এবার সুস্মিতা দেবের  সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করেছে তৃনমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির লোকজন হামলা করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন কর্মী। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে আগরতলা হাসপাতালে। আহত কর্মীদের দেখতে যান সুস্মিতা দেব ও ব্রাত্য বসু। সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব । তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের  অভিযোগ, মন্দির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে বিকেলে দলীয় কর্মীদের উপরে আতর্কিত হামলা করে বিজেপির লোকজন। জখম হন সুমন সরকার ও আইজেল হক নামে দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে বিজেপি ।

আগরতলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন ও আইজেল-কে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা সুস্মিতা দেব  বলেন, ‘সকাল ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের ঠিক পরেই বিজেপির এক মন্ত্রী গিয়ে ঢুকলেন। তাঁর সাথে বিজেপি কর্মীরাও ছিলেন।সেখানে আমাদের সাথে বিজেপি যে ব্যবহার করেছে তা অগণতান্ত্রিক। ধিক্কার জানাচ্ছি। সৎ সাহস থাকলে ভোটে লড়াই করুন। আমাদের কর্মীদের মারার কোনও মানে হয় না। বিজেপিকে বলতে চাই, গুজরাট মডেলকে ভয় করি না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কতখানি সাহস তা বিধানসভা ভোটে বুঝে গিয়েছেন। আমরা এক পা-ও পিছোব না। আপনারা যা করার করে নিন।’

ব্রাত্য বসুর কথায়,’বিজেপির গুন্ডারা পিটিয়েছে। এটা সভ্য কার্যকলাপ হতে পারে না। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর এটা রোজ হচ্ছে। পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। ব্যক্তিগত কর্মসূচি ছিল। ৩-৪ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের ধরে মেরেছে বিজেপি কর্মীরা।’