এম এ রহিম, যশোর-বাংলাদেশ
চারদিনের ওই সন্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই বিএসএফ-র প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সিমান্ত শহর বেনাপোলে পৌঁছালে বিজিবির পক্ষ থেকে ফুলের-তোড়া দিয়ে তাদেরকে স্বগাত জানানো হয়
এসময় উপস্তিত ছিলেন ভারতের সাউথ বেঙ্গল ফ্রনি্টয়ার কমান্ডার আই-উসম্রান্, বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রহমান ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিজিবি-বিএসএফ-র কর্মকর্তাবৃন্দ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি বিএসএফ-র দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান পারষ্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর যশোরে বিজিবি-বিএসএফ রিজিয়ন কমান্ডার ও ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে।
যশোরের বিজিবি-র পিবিজিএম, পিএসসি পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আনোয়ারুল মাযহার আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতি জারী করে জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র যশোর ও রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর সাউথ বেঙ্গল,নর্থ বেঙ্গল ও গৌ-হাটি ফ্রন্টিয়ারের ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ে চারদিনব্যাপী সিমান্ত সমন্বয় সন্মেলন (২ থেকে-৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩) শনিবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে।
বর্ডার গার্ড অব বাংলদেশ (বিজিবি)-র রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম (Brig. Gen. Mohammad Morshed Alam) এর নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ সহ উভয় রিজিয়নের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডারগণ, বিজিবি’র স্টাফ অফিসারবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেনঅপরদিকে, ভারতের সিমান্ত রক্ষাবাহিনীর (বিএসএফ)-র সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি, আইপিএস (Shri Ayush Mani Tiwari, IPS) এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজিগণ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ডিআইজিগণ, বিএসএফের স্টাফ অফিসারগণ, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-রা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সম্মেলনে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ‘যৌথ আলোচনার সিদ্বান্ত বা দলিল (Joint Records of Discussion) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সন্মেল শেষে ওই দিনই ভারতীয় প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন।