প্রতিনিধি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ। বেনাপোল বন্দরে, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আহত ১০।
ভোট চাইতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল স্থলবন্দরের নৌকার প্রাথীর  শেখ আফিল উদ্দিনের সমর্থক শ্রমিকদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এর জেরে লিটনের পক্ষের ও বিপক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বন্দর এলাকা। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটনসহ ১০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ও বিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দফায় দফায় প্রতিবাদ মিছিল করেন বন্দরের শ্রমিক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এদিকে যশোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন জানান, সকালে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্দরের শ্রমিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে যান। এসময় হঠাৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতা রশীদ ও রাজু সর্দার তাদের ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় এর প্রতিবাদ করলে  মারধর করা হয় তাদের। এতে স্বতন্ত্র প্রাথীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে  এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন শ্রমিককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া সবাইকে সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

বেনাপোল থেকে এম এ রহিম  জানায়,

প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন  বলেন সভাপতি রাজু আহমেদ,ও লেবার সর্দার রশিদ মল্লিক, ও মন্ডলের নেতৃত্বে  এই হামলা হয়। এই হামলায় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আজিবর রহমান সহ ১০ গুরুতর আহত হয়।

এ ঘটনায় শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজনা ইসলাম নির্বাচন আচারণ বিধি লংঘনের জন্য তিনজনকে ৫০০০ টাকা করে মোট ১৫০০০(পনের হাজার ) টাকা জরিমানা করেন। তবে এ ঘটনায় ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন অভিযোগটি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগে প্রকাশ।। ঘটনাস্থলে যশোর এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী পরিদর্শন করেন। এঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী সহ এলাকার জনগন বিকালে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

আওয়ামীলীগ নেতা  শাহবদ্দিন মন্টু  মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টে  ট্রাক প্রতিকের সতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার ও এলাকার মানুষের সাথে  পায়ে হেটে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতে যাওয়ার সময় বেনাপোল বন্দরের ২ নং গেটের বিপরীত দিক থেকে আকস্মিক ভাবে রশিদ সতন্ত্র প্রার্থীকে গালাগালি করতে থাকে। এসময় রাজু ও মন্ডল এর নেতৃত্বে একদল শ্রমিক প্রার্থীর জামা  ধরে মারতে যায়। দ্রুত নেতা কর্মীরা লিটনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আজিবর রহমানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে দেয়। এবং আরো ৮/১০ জনকে তারা পিটিয়ে আহত করে। এসময় তাদের প্রত্যেকের হাতে লাঠি দা দেখা যায়। যা বেনাপোল স্থল বন্দরের সিসি ক্যামেরা ওপেন করলে দেখা যাবে।

এ ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সতন্ত্র প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমি চেকপোস্ট থেকে এখানে আসার পর সবার সাথে  সালাম বিনিময় করি।  হঠাৎই রশিদ নামে একজন আমাকে গালাগালি করে এবং আমাকে মারতে আসে।