উৎপল রায়
বিশ্বব্যাপি পরিবেশ পরিস্থিতি-র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে দ্যা ইনস্টিটিউট অব কস্ট এ্যাকাউন্টেন্ট ইন্ডিয়া (ICMAI)-র উদ্যোগে আগামি ১৪ ও ১৫ জুলাই রাজধানির নয়াদিল্লিতে দু’দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সামিট-২০২৩। এই শীর্ষ সন্মেলনের মূলথিম নির্দিষ্ট করা হয়েছে ”’Unlocking Sustainability : G-20 Presidency Paves the Way for an ESG-driven New World Order” (অর্থৎ স্থায়িত্ব উদঘাটন : জি-২০ প্রেসিডেন্সি একটি ইএসজি চালিত নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করে”) । নয়া দিল্লির মানেকশ সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার এবং সংস্কৃতি ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, এ ছাড়া SCOPE-র মহাপরিচালকা মি. অতুল সোবতী, মহাপরিচালক, আর্থিক পরিকল্পনা, ভারতীয় সেনাবাহিনী, সমীর গুপ্ত উদ্বোধনী অধিবেসনে সন্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দু’দিনব্যাপি এই সন্মেলনের লক্ষ্য হলো (জিএস-২০)পরিবেশ পরিস্থিতির ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করার জন্য পরিবেশ সচেতন অনুশীলন এবং স্বল্পব্যয়ে ও কি ভাবে জীবনযাত্রার একটি টেকসই উপায় প্রচার করা এবং যাতে করে সেই প্রাচারের প্রভাব বাস্তবায়নে পরিমিত নলেজ শেয়ার করা্, এবং সামিটের সুপারিশগুলো মাঠপর্যায়ের প্রান্তিক স্টেকহোল্ডারদের কাছে তা দ্রুত পৌছে দেয়া। সন্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিভিন্ন এক্সপার্টি ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখবেন।
ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি-র লিড এখন ভরতের কাছে ন্যস্ত, এটা ভারতের সমস্ত নাগরিকদেরজন্য একটি গর্বের মূহুর্ত, কারণ, এটি ভারতের প্রতি বিশ্বের আস্থা প্রতফলিত করে। ইসিজি ইকোসিস্টেম বলতে কোম্পানি, বিনিয়োগকারি, নিয়ন্ত্রক, সরকার এবং সুশিল সমাজসহ স্টেকহোল্ডারদের আন্ত:যুক্ত নেট্য়ওর্ককে বোঝায়।
দিল্লির এই গ্লোবাল সামিট শুরু হওয়ার আগে ১২ জুলাই কলকাতা প্রেসক্লবে এ ব্যাপারে একটি প্রাক ইভেন্ট প্রেস কনফারেনসের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বরূপ বসু, প্রাক্তন সভাপতি আইসিএমএআই এবং ইনস্টিটিউটের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখবেন।
দ্য ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া (পূর্ববর্তী সময়ে ভারতের কস্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট) ভারতীয় কোম্পানি আইন, ১৯১৩-এর অধীনে ১৪ই জুন, ১৯৪৪-এ “ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস অ্যাকাউন্ট্যান্টস” হিসাবে প্রথম নিবন্ধিত হয়েছিল। ২৮মে, ১৯৫৬, ইনস্টিটিউটটি সংসদের একটি বিশেষ আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যথা, কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫৯ সালে কস্ট এবং ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্সির পেশার নিয়ন্ত্রণ এবং বিকাশের জন্য একটি বিধিবদ্ধ পেশাদার সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকারের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে প্রবর্তিত হয়।
ইনস্টিটিউটের সদর দফতর কলকাতায় অবস্থিত যার চারটি আঞ্চলিক কাউন্সিল রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাইসহ ভারতের ১১৪টি অধ্যায় এবং১১টি বিদেশী কেন্দ্র রয়েছে। এই ইনস্টিটিউট হল বিশ্বের বৃহত্তম কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং সংস্থা, যার প্রায় ৫০০,০০০ ছাত্র এবং ৯০,০০০ যোগ্য CMA আছে। প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাকাউন্ট্যান্টস (IFAC), কনফেডারেশন অফ এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাকাউন্ট্যান্টস (CAPA) এবং সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ অ্যাকাউন্ট্যান্টস (SAFA) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।