এম এ রহিম. বাংলাদেশ থেকে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল প্রশংসানীয়। তেমনি স্বাধীনতার পরবর্তী কাল আজও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ ও সর্ম্পীতির কোনো ঘাটতি নেই l দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন দুর্যোগ, মহামারি মোকাবেলায় এক সাথে কাজ করছে l
ব্যবসা বাণিজ্য যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে এক অভুতপূর্ব মেলবন্ধনl সড়ক পথে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি রেল ও বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কলকাতা টু বেনাপোল ভায়া ঢাকা ও আগরতলায়ও সরাসরি বাস চলছে l এরই মধ্যে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বণ্যায় বহু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পণ্য পরিবহণে বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যাবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় সংশ্লিষ্ট দফতর। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ সম্মতিও দিয়েছেlবাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে ভারতের রাজ্যগুলোতে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের মেয়াদ হচ্ছে ৪ মাসের জন্য । ইতোমধ্যে অস্থায়ী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ৩ আগস্ট (বুধবার) এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিত জারী করে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারত ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে বিকল্প পথে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্য চলাচলের সুবিধা পাবে। এর জন্য প্রতি কিলোমিটারের প্রতি টনে ১ টাকা ৮৫ পয়সা খরচ নির্ধারণ হয়। মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের তামাবিল, সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে সিলেট বাইপাস ব্যবহার করে রাজনগর, মৌলভীবাজার, শমশেরনগর, চাতলাপুর থেকে ত্রিপুরার কৈলাশরে পৌঁছাবে। এই জন্য ভারতীয় ট্যাঙ্কারগুলো বাংলাদেশের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। সমঝোতা স্মারকটি চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদটি গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালেও ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের অনুমতি সংক্রান্ত একই ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
চলতি বছর ভারী বর্ষাণজনিত কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তার অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের জন্যই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি মফিজুর রহমান সজন বলেন বাংলাদেশ সড়ক ব্যাবহারে উপকৃত হবে উভয় দেশ। বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের উদারতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।