প্রণব ভট্রাচার্য্য
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ভারতীয় অংশে প্রবেশ করলেই নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। কিন্তু এই দায়িত্বে তারা আর থাকছে না। মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রী সুরক্ষার দায়িত্বে আসছে ভারতীয় রেল পুলিশ (জিআরপিএফ) এবং আরপিএফ। ট্রেনটির নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ বাহিনীই তৈরি করেছে জিআরপি।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মারক হিসেবে স্বাধীনতার পর চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। তবে কয়েক বছর পরেই বন্ধ হয়ে যায় এই সেবা। এরপর প্রায় ৪৩ বছর পর ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আবার এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
ট্রেনটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে বলেই এর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় বিএসএফ। এমনকি মৈত্রী এক্সপ্রেসে কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিএসএফের ২০ জন সদস্যও থাকেন। তাদের হাতে থাকে ইনসাস বা এ কে সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা স্টেশনে যাত্রী ও লাগেজ পরীক্ষার দায়িত্বও বিএসএফ সদস্যরা পালন করেন।
জানা গেছে, বিএসএফ নিজেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চাইছে। এরই মধ্যে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি আরপিএফ ও জিআরপি’কে জানানো হয়েছে।
কলকাতা স্টেশনটি শিয়ালদা জিআরপি’র অধীনে পড়ে। তাই তারা অন্য স্টেশন থেকে নিরাপত্তাকর্মী না এনে মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য আপাতত ১০ সদস্যের বিশেষ বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগির এই বাহিনীর সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।