স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশভিত্তিক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হবে।

বুধবার সকাল  অভিযুক্ত সবাইকে আদালতে হাজির করা হলে ওই  নির্দেশ দেন স্থানীয় সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩-র বিচারক জীবন কুমার সাধু।

এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১১ টা নাগাদ তাদের আদালতে আনা হয়। সেক্ষেত্রে আদালতে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ার কারণে আধা ঘণ্টা আগেই দুইপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তাদের বক্তব্য শুনে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিন আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পাতার অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে ইডির কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হওয়া  সমস্ত ডক্যুমেন্ট জমা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে  ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী উপরিউক্ত তথ্য জানিয়ে সংবাদ-কে  জানান, “আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলে হবে। সেদিন অভিযক্ত পিকে হালদারসহ সমস্ত অভিযুক্তদের কাছে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য -র সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ।”

জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বা নতুন কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি বলেও এদিন  আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। ওই ১০০ পাতার চার্জশিটে পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ (পিএমএলএ) মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে তাদের কয়েকটি সংস্থার নামও।”

এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে, একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এদিন আদালতে প্রবেশের সময় গণমাধ্যমের কর্মীরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলেও সাংবাদিকদের   কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি পিকে হালদার বা তার সহযোগীরা।

উল্লেখ্য, অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পি কে হালদার- এর সাথেই গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।