ঢাকা থেকে হরলাল রায় সাগর

বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া বালুখলী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার বিকেলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ও কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী আগুন নিয়ন্ত্রণে করছে। ইতোমধ্যে আগুনে ২ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, রোহিঙ্গা শিশুদের পাঠদানের লার্নিং সেন্টার ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে।  এখন পর্যন্ত আগুনে ৫০টিরও বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে। বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চার টিম আগুন নেভানোর কাজ করছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গা বসতিগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো এবং ঘনবসতি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে  ইতিমধ্যে  ১৫ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক। উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান,‘আমরা ঘটনাস্থলে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ১১ নম্বর ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম পরে জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে আরও দুটি টিম এসে আগুন নেভানোর কাজ করছে।’

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের তীব্রতা  ছিলঅনেক। এই মুর্হূতে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোন খবরপাওয়া যায়নি, তবে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর অনুসন্ধানের কাজ শুরু হলে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হবে, জানিয়েছেন র‍্যাব অধিনায়ক আমির জাফর।