নিজস্ব রিপোর্ট
কলকাতা : সব জটিলতার অবসান হলো। বৃহস্পতিবার বিধানসভাতেই বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন ভবানপুরের জয়ী প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে শপথ নেবেন জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জের দুই বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীও। তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
মঙ্গলবার তিনি টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন। রাজ্যপালের দপ্তর থেকে ওই টুইটারে লিখেছেন, ৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বেলা ১১-৪৫ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জাকির হোসেন এবং আমিরুল ইসলামের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার আগেই বিধানসভায় বিধায়ক পদে শপথ নিতে ইচ্ছুক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ইচ্ছেতেই সম্মতি দিলেন ধনকড়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আর বিধায়কদদের শপথ গ্রহণ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ।
এটাই প্রচলিত রীতি এবং প্রথা। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারার বলে সেই ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছেন। স্পিকারের অধিকারে এহেন হস্তক্ষেপের ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চাইছিলেন রাজ্যপাল যদি একান্তই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান, তাহলে যেন বিধানসভায় উপস্থিত থেকে তা করেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিধানসভায় বিধায়কদের শপথ গ্রহণের আর্জি জানিয়ে সোমবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রাজভবন এই নিয়ে গড়িমসি করছিল। এমনকী সোমবার সন্ধ্যায়ও রাজ্যের এই আর্জি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইট করে জানিয়েছিলেন, সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা অপব্যাখ্যা করছে বিধানসভা।
ধনকড় দাবি করেছিলেন, সংবিধানই রাজ্যপালকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। তবে মঙ্গলবার সুর নরম করেন জগদীপ ধনকড়।তাঁর আফিস টুইট করে জানিয়ে দেয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় গিয়ে তিন বিধায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।