প্রণব ভট্রাচার্য্য

ভারতের মনিপুরে জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় ও প্রান্তিক এই জনপদে দশকের পর দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সহিংসতা চলে আসছে। সমতল ও পহাড়ি জনপদের বাসিন্দদের জীবন ও যাপনে অনেক ফারাক। তাদের সহিংসতার ইতিহাস জানতে হোলে গোড়া থেকে সেখানকার জাতিগত সমস্যার কারণ অনুধাবন করতে হবে। এই সমস্যার সমাধানে প্রথম থেকেই কোন সরকার তেমন গুরুত্ব দেয়নি। আর এই প্রান্তিকীকরণের রাজনীতি্ই সেখানকার মূল সংকট হয়েই থেকে গেছে। মূলত: এই জনপদে বহু আগে থেকেই জাতিগত সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলেও সাম্প্রতিক সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নেয়। গত দেড় মাসে জাতিগত প্রতিপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে মনিপুরের মাটিতে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ভারতের একটি ছোট্র রাজ্য মনিপুর। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী একটি লীলাময়, পাহাড়ি রাজ্য, আধুনিক ভারতের সৃষ্টির পর থেকে এখানে গৃহযুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাজ্যটি চীন-তিব্বতীয় সম্প্রদায়ের জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীর আবাসস্থল, প্রত্যেকের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্ম রয়েছে। উত্তরের কাশ্মীরের মতো, এটি একসময় ব্রিটিশ শাসনের অধীনে প্রিন্সলি স্টেট হিসেবে একটি রাজকীয় রাজ্য ছিল। কিন্তু, কাশ্মিরের মতো মণিপুরও ভারত স্বাধীন হওয়ার পরপরই ভারতের সাথে যুক্ত হয়নি। বরং ১৯৪৯ সালে তারা ভারতের যুক্তরাজ্য ব্যবস্থায় যুক্ত হয়। মণিপুরের শাসক মহারাজা বুদ্ধচরণ ভারত সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি সই করেন। আর সেই থেকেই ওই রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদের আন্দোলনেরও সূত্রপাত ঘটে।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মনিপুরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২৮লক্ষ ৫৫ হাজার ৭১৪।বর্তমানে অর্থৎ ২০২৩ সালের মধ্যে প্রজেক্টেড জনসংখ্যা হলো ৩৬ লক্ষ চার হাজার। অর্থাৎ পশ্চিবঙ্গের একটি ছোট জেলার চেয়েও ছোট। ছোট রাজ্য হলেও মনিপুরে মোট জেলার সংখ্যা কিন্তু ১৬। প্রায় কম বেশী সকল সম্প্রদায়ের বসতি রয়েছে রাজ্যটিতে। রাজ্যের হিন্দু ও ক্রিশ্চানের অনুপাত প্রায় সমান। হিন্দু ৪১.৩৯ শতাংশে এবং ক্রিশ্চান ৪১.২৯ শতাংশ। মুসলিম রয়েছে ৮.৪০ শতাংশ। ধর্মীয় সংখ্যা গুরু বা সংখ্যালঘুর পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে দেখলে রাজ্যটি জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশই হচ্ছে বিশুদ্ধ মনিপরি বা মেইতেই জনগোষ্ঠির। বাকিদের মধ্যে রয়েছে কুকি, নাগা, বিষনুপ্রিয়া, মার,মারা ও ডিমাসা। মনিপুরে সংখ্যর বিচারে মেইতেইরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। অ-উপজাতি বহু প্রতিভার অধিকারী। তবে বাকি গোষ্ঠিরাও কারোদের চেয়ে ফেলনা নয়।
মণিপুরের সমস্যার সঙ্গে ভূগোলের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্যটি একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের মতো যেখানে ইম্ফল উপত্যকা কেন্দ্রে খেলার মাঠ এবং আশেপাশের পাহাড় গ্যালারির প্রতিনিধিত্ব করে। চারটি মহাসড়ক, যার মধ্যে দুটি রাজ্যের জন্য লাইফলাইন, উপত্যকার বাইরের বিশ্বের অ্যাক্সেস পয়েন্ট। উপত্যকা, যা মণিপুরের প্রায় ১০%ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত, অ-উপজাতীয় মেইতি দ্বারা প্রভাবিত। যারা রাজ্যের জনসংখ্যার ৫৩% এরও বেশি এবং রাজ্যের মোট ৬০ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনই প্রতিনিধিত্ব করে অ-উজাতি। এর মধ্যে বেশীর ভাগই প্রতিনিধিত্ব করে মেইতেই হিন্দু এবং মুসলিমরা। বাকি ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে গঠিত পাহাড়ে ৪৭% এরও বেশি স্বীকৃত অন্যান উপজাতি বসবাস করে কিন্তু তাদের মধ্যে বিধানসভায় রয়েছে মাত্র ২০ জন বিধাযক।

সাম্প্রতিক কালে (৩ মে থেকে) হঠাৎ জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে যখন নির্দিষ্ট উপজাতি গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার যখন অ-উপজাতীয় মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতি (এসটি)-র মর্যদা দেয় মনিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টে মেইতেইদের দাবী ছিল অ-উপজাতি হিসেবে সমস্ত সরকারীকোর্টে আবেদন করে।পরবর্তীতে মনিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফশিলি উপজাতি (এসটি)-হিসেবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেয়। ১০ বছর আগের মনিপুর হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে সরকার ৩ মে মান্যতা দিতে গেল, সেই আগুন দাবানলের সৃষ্টিকরে। ২৫ টি কুকি সম্প্রদায় মনে করে স্বল্প জনসংখ্যার এই পাহাড়ি রাজ্যে মেইতেইদের এসটিভূক্ত করা হলে সংখ্যালঘু হিসেবে তারাই বেশী সরকারী সুবিধায় কোটা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। এসটির সুবিধা কুকি সম্প্রদায়সহ অন্যানারাই স্বীকৃত ছিল।

১০ বছর আগে এই নিয়ে মেইতেইরা এসটির মর্যদা পেতে মনিপুর হাই অগ্রাধিকার পাবে।তাই গত ৩ মে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কুকি উপজাতি গোষ্ঠীকে সংগঠিত করে তারা ট্রাইবাল সলিডাডিটি মার্চ বা পদযাত্রার আয়োজন করে। খবর পেয়ে কুকিদের সেই ট্রাইবাল জমায়েতে অস্ত্রধারী জঙ্গিরা ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বিরামহীন রক্তক্ষয়ী সহিংসতা।

মোট কথা ভারতীয় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে কুকি জনগোষ্ঠী ও মেইতেইরা নেমে পড়ে রক্তঘাতি সংঘর্ষে। অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে্ও ছড়িয়ে পড়ে এই সংঘর্ষ।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের একটি অংশও পক্ষ নিতে শুরু করে নিজ নিজ জাতি গোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে। অগ্নিসংযোগ, লুঠপাত এবং ভয়াবহ হত্যালীলায় মেতে ঊঠে গোটা রাজ্য। রাজ্যসরকার অসহায় হয়ে আত্মসমর্পন করে উত্তেজিত জনতার কাছে। চলমান সহিংসতার কারণে এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়, আহত হয় এক হাজারেরও বেশী মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় চার্চ, মন্দির, মসজিদ থেকে শুরু করে নিরপত্তা রক্ষিদের ব্যারাকও। পুড়িয়ে দেযা হয় মন্ত্রীর বাড়ি। পুলিশ ব্যারক থেকে লুঠ হয় প্রচুর গোল,গুলি ও বারূদ। ঘর ছাড়া হতে হয় ৪০ হাজারেরও বেশী মানুষকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারীভাবে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মাঠপর্যায়ে তেমন কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ বিপর্যয় ঘটে। নতুন করে এলাকায় এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ায় মনিপুরে এখন মৃত্যু মিছিল পরিণত হয়েছে।
মূলত জাতিগত এই সহিংসতার সূত্রপাতের অনেক আগেই মনিপুরে অ-উপজাতি মেইতেই ও উপজাতি কুকিদেরমধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা উঠে য়ায়। কুকিদের মধ্যে দাবি, আলাদা প্রশাসন বা রাজ্য। বিজেপির কুকি বিধায়করাও এই দাবিতেসরব হয়। কিন্তু মেইতেই-রা রাজ্যে কোন অবস্থাতেই আলাদা প্রশাসন বা অখন্ডতা ছড়াতে নারাজ। ওদিকে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে বিরোধ চলার মাঝে নাগারাও ফের আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে বিরোধ শুরু করে।
এই অ-উপজাতি ও উপজাতি-র মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়।উপরন্তু সরকারের সীমাহীন নিরবতা সুলভ মনোভাব সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। তার পর নতুন করে সমস্যা দেখা দেয় মেইতেইরা এসটি শ্রেণীভুক্তকরণ স্বীকৃত হওয়ায় জনজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পাল্টা প্রত্যঘাতের জন্ম দেয়।
অত্যান্ত রক্ষণশিল মেইতেইদের অন্যদের সঙ্গে লড়াই বহুদিনের। কুকি ও নাগাদের মেইতেইরা মানুষ বলেই মানতে নারাজ। আর এই নিয়েই অন্য উপজাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের বিরোধ দির্ঘদিনের। সেই বিরোধকে কাজে লাগাতে সক্রিয় অনুপ্রবেশকারী বিরোধী শক্তিও। এই নিয়ে অতিতে বহুবার বহুমুখী বিরোধ দেখেছে মনিপুর বাসি।
মেইতেই ও বিষনু প্রিয়ারা হিন্দু, কিন্তু তারা সংঘবদ্ধ। বাকিদের ঐক্যও চোখে পড়ার মত। তাদের বেশীর ভাগই ক্রিশ্চান। অঘোষিত শান্তির আবহাওয়য় এতদিন তারা সহবস্থানেই ছিল। জঙ্গীদেরকেও প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা যেত। এই সুবাদে পেছনের দরজা দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শান্তপূর্ণ অবস্থানের কার্পেট থেকে বহুদিন ধরেই গরম ধোয়া বের হচ্ছিল। পরে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কুছ পরোয়া নেহি মনোভাব পাহাড়ি জনজাতিকে বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই সরকারের আয়ত্বের বাইর।মনিপুর ট্রাইবাল ফোরাম নামের রাজ্য্যের কুকি সম্প্রদায়র প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের দাবী গত ৩ মে থেকে এই পর্যন্ত জাতিগত সহিংসতায় ১৫০ জনেরও বেশী নিহত হয়েছে তার মধ্যে ৭০ জনই কুকি সমাজের অন্তর্গত, আহতদেরও বেশীর ভাগ কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কুকিদের জীবন রক্ষায় ব্যর্থ। তাই মেইতেইদের হাত থেকে কুকিদের জীবন বাঁচাতে সেনা শাসন ছাড়া উপাই নেই। ওই সংস্থাটি তরফ থেকে সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালিন বেঞ্চে দাবী করা হয় মনিপুরকে পুরোপুরি সেনার হাতে তুলে দেয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট তাদের আর্জি ফিরিয়ে দিয়ে বলে, মনিপুরে যা চলছে তা নিছকই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিজনিত সমস্যা।
অশান্ত মনিপুরের শান্তি ফেরাতে কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মনিপুর সফর করেন। তার পরেও পরিস্থতির উন্নতি হয়নি, বরং বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছ’ড়িয়ে পড়ছে। মনিপুরে একাধিক জনগোষ্ঠীর কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।অথচ সেই জটিলতার গভিরে ঢোকার বদলে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চেয়েছে বিজেপি।কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।এখন রাজ্যপালকে সামনে রেখে একটি শক্তিশালি শান্তিকমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই কমিটি ভেস্তে গেছে কুকি ও মেইতেই সংগঠনগুলোর বয়কটের কারণে। যুয়ুধন দুই পক্ষের সঙ্গে কথা না বলে কেন্দ্রীয় স্বরা্ষ্ট্রমন্ত্রক ওই কমিটি গঠন করে আরও জটিলতার সৃষ্টি করেছে। আগুন কিছুতেই নিভছেনা। দেড়মাস অতিক্রানত হতে চলেছে কার্ফু জারির বয়স। সেই থেকে টানা বন্ধ ইন্টারনেট পরিসেবাও।মনিপুরের জনজীবন পুরো পুরি বিপর্যস্ত। এই কারণে সেখানে নিত্য ব্যবহারেকারী জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া।কোন কোন দ্রব্য নাগালের বাইরে। সরকারী ত্রান শিবিরে অসহায় অবস্থায় দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
মনিপুর ট্রাইবাল ফোরাম নামের রাজ্যের কুকি সম্প্রদায়র প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের দাবী, গত ৩ মে থেকে এই পর্যন্ত জাতিগত সহিংসতায় যে ১৫০ জনেরও বেশী নিহত হয়েছে তার মধ্যে ৭০ জনই কুকি সমাজের অন্তর্গত, আহতদেরও বেশীর ভাগ কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কুকিদের জীবন রক্ষায় ব্যর্থ। তাই মেইতেইদের হাত থেকে কুকিদের জীবন বাঁচাতে তারা সেনা শাসন ছাড়া কোন উপায় দেখছেনা। ওই সংস্থাটি তরফ থেকে সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালিন বেঞ্চে দাবী করা হয় মনিপুরকে পুরোপুরি সেনার হাতে তুলে দেয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট তাদের আর্জি ফিরিয়ে দিয়ে বলে, মনিপুরে যা চলছে তা নিছকই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিজনিত সমস্যা।
ছোট্র রাজ্যটিতে বহুকাল ধরে্ চলে আসছে জাতিগত সহিংসতা। মুড়ি-মুড়কির মত অস্ত্রের ঝন ঝনানি ছিল তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনকি মনিপুরের পাড়ায় পাড়ায় ব্যঙের ছাতর মত বিরাজ করছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সকলের হাতে থাকে নূণ্যতম একে সিরিজের রাইফেল, আইইউডি প্রভৃতি। মায়ানমারের সিমান্তবর্তী মনিপুরে জঙ্গি প্রশিক্ষণেরও অভাব নেই।তাই অহরহ প্রকাশ্যেই শোনা যায় গোলার আওয়াজ। এই অবস্থায় সেনা আধাসেনার জওয়ানরা প্রায়ই জঙ্গিদের গুলিতে লুটিয়ে পড়ে মনিপুরের মাটিতে।
তবে গত মে মাসে শুরু হওয়া দাঙ্গা ও সহিংস পরিস্থিতি গত কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, প্রবল এই জাতিগত সহিংসতা থামবে বলে মনে হচ্ছেনা, কারণ কার্ফুজারি ও ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করা ছাড়া সরকার এই হিংসা বন্ধ করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই বলেই মনে হয়। এ বাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদিও নিরব। মোদির এই নিরবতায় আরও ক্ষিপ্ত মনিপুরের মানুষ। পরিস্থিতি হয়ে ঊঠছে আরও ভয়াবহ। মনিপুরের এই সহিংসতা অচিরে বন্ধ করা না গেলে এই অশান্তির আগুন পার্শ্ববর্তী নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, আসাম ছাড়িয়ে দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে। সময় থাকতে সরকার সতর্ক না হলে বিপদ আরও বাড়বে।
অপরদিকে ভারতের বিরোধীদলগুলো মনিপুরের দাঙ্গার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছে।