এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। সত্যিই প্রকৃতি যেন আপন হাতে দেশটিকে মনের মতো করে সাজিয়েছেন। ষড়ঋতু পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে নব নব সৌন্দর্যে বিভূষিত করে। নদীমাতৃক এ দেশের দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালা, পাখপাখালি রূপের মাধুর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নদীবিধৌত সরস ভূমি বলেই হয়তো এখানে অনায়াসে অসংখ্য বৃক্ষ জন্মে— যা সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে গিয়ে সেই প্রকৃতির রূপের মহিমা যেন অনুভূতিতে মিশে গেছে সবুজ নিসর্গ আর বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির মতই। ধর্ম-বর্ণের বিভিন্নতা সত্ত্বেও এদেশের মানুষ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে পাশাপাশি বাস করে সহজ সরল অথচ প্রকৃতির বিরূপ বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করার অসীম সাহস ও শক্তি নিয়ে।বাংলাদেশের গ্রাম-গ্রামন্তর ঘুরে আজস্র অভিজ্ঞতার সঞ্চার করেছি। সাবেকি অন্তরালে দেখা ও না জানা অনেককিছু বিষয় অবলোকন করতে পেরে অবিভূত হয়েছি । বাংলার প্রকৃতির এতরুপ ও সৌন্দর্য মোহিত করেছে। বাংলাদেশ ভারত জার্নালিস্ট ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও রাঙ্গাবালি প্রেসক্লাবের আয়োজনে সমদ্রপথে নৌভ্রমণ যাত্রাটি দু দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও নৈকট্যের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে দু’দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেলবাংলাদেশের সর্বদক্ষিনাঞ্চলের পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়ার সাগরকণ্য কুযাকাটা, গলাচিপার রাঙ্গাবালি, চরমোন্তাজসহ রামনাবাদ নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে নৌ-ভ্রমণ যাত্রায় গিয়ে ভারতের প্রতিথযশা সাংবাদিক ও দিল্লি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ির অনুভূতি বাংলাদেশের জন্য বিরাট সুনাম বয়ে ানলো।
এ প্রসঙ্গে গৌতম লাহিড়ি ভিওসি-কে বলেছেন, বাংলাদেশের এই অপরূপআ সৌন্দর্য রাশিকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে টানতে সাংবাদিকদের বেশীকরে প্রচার করতে হবে।
তিনি বলেন, সুন্দর বনের, সমুদ্র সৈকতসহ আজস্র প্রাকৃতিক সম্পদের মনোরম ও নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্চে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীরা। বরিশাল ভোলা ও পটুয়াখালির মধ্যে নতুন রুটে যাত্রা করছে কুয়াকাটা ওয়ান নামের জাহাজ। জাহাজটিতে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। সমদ্র বিহারে আনন্দ ভ্রমন এক অন্যরকম অনুভুতি জাগায়। প্রকৃতি ও প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যের টানে মোহিত করে মন। একদিকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরুপ দৃশা ব্যাপক মনোমুগ্দকর।সাগরের বুকে জাহাজ, স্প্রীডবোট,ডিঙি নৌকা, ট্রলার বড় নৌকা যেন জলচরে সাগরের বুক চিরে বয়ে চলা জাহাজ ও ছোট বড় লঞ্চের ছুটে চলা মিষ্টি আওয়াজ মুগ্ধ করবে দর্শনার্থীদের। দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে টানছে স্পটগুলো।
প্রাচিনকাল থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত কবি-সাহিত্যিক-শশিল্পিরা নৌ ভ্রমন করেছেন। দিল্লী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সহ ঢাকা প্রেসক্লাবের নেতা ও গণমাধ্যম কর্মিদের নৌ ভ্রমণে স্মরণ করে রাখার মতো কিছু মুহুর্তের সৃষ্টি হয়েছে।সাংবাদিক কিশের সরকারের সার্বিক ব্যাবস্থাপনা ও কুয়াকাটা -১ মালিক আবুল কালামের সহযোগিতা ও আথিতেয়তায় ৪দিন ব্যাপি চলে নৌ ভ্রমণ। জাহাজের মধ্যেই চলে নানা স্বাদের ম্যানুর খাওয়া-দাওয়া। উৎসবে রূপ নেয় কয়েকটি স্টেশন এলাকা। চারদিনের ভ্রমণে কোন দুষ্কৃতকারী, বনদস্য, ডাকাত- সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের উৎপাত। শান্ত ও নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্যেই নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে পর্যটকরা। নির্মিত হয়েছে একাধিক ফরেস্ট অফিস ও নতুন ঘাট। ঢাকা সদরঘাট থেকে নৌ ভ্রমণ শুরু হয়ে রাঙ্গাবালি, চরমোন্তাজ, সোনারচর, চর কুকরী মুকরি বকশি বাজারসহ অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত অনেক স্পট ভ্রমণ করেছে সাংবাদিক ও অন্যান্য অতিথিরা। করছে দর্শনার্থীরা।