এম এ রহিম.বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে  সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও বানিজ্য চুক্তির আওতায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২২’শ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভারতীয় ৮৭ ট্রাকে যায় পণ্য চালানটি। যার রফ্তানিকারক কনফিডেন্স ট্রেডার্স ভারত। খালাসকৃত পণ্যচালানটি রবিবার সকালে বন্দর থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস ওঠা নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কমদামে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সরবরাহের অংশ হিসেবে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করবে সরকার।  বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা  প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৩৩.৭০ টাকা পড়লেও সরকার ১৩ টাকা ৭০ পয়সা ভর্তুকি দিয়ে ২০ টাকা কেজিতে এসব পেঁয়াজ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে। এ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে। বেনাপেল বন্দর থেকে দ্রুত যাতে পেঁয়াজ ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য সব ধরণেরর সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান বেনাপোল বন্দর উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল।

-নিম্নআয়ের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে দেশের  এক কোটি  এক লাখ পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে। প্রত্যেক পরিবারকে ২০ টাকা দরে ২ কেজি পেঁয়াজ, ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল ও ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হবে। পেঁয়াজের  যোগান দিতে সরকার ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করবে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ও বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন.ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের চালান বেনাপোল বন্দরে গভীর রাত পর্যন্ত খালাস করা হয়েছে। রবিবার সকালে বন্দর ছেড়ে যায় পেয়াজের চালান। এরফলে বাংলাদেশের মসল্লার বাজারে কিছুটা ফিরবে স্বস্তি। কমবে দাম। দেশের পেঁয়াজ চাষীদের উৎসাহিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। চাষ বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত  করে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সব ধরণের পণ্য রফতানিতে সরকার আন্তরিক বলে জানান এখানকার ব্যাবসায়ি নেতারা।