এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে
একদিকে বাংলাদেশে ডলার সংকট অপরদিকে পণ্য আমদানিতে এলসি বন্ধের পর এবার কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত ও বাংলাদেশের কাঁচাপাট আমদানি ও রফতানির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার রফতানি পণ্যের তালিকা থেকে কাঁচা পাটকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা পাটকে রফতানি পণ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অফিসিয়ালি বিষয়টি অবহিতও করেছে।
প্রসঙ্গত, রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী কাঁচা পাট শর্ত সাপেক্ষে রফতানি পণ্যের তালিকাভুক্ত ছিল। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশ থেকে কাঁচা পাট রফতানি করা যেতো। বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ও বেনাপোল আমদানিব রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন দেশে আমদানি রফতানি বানিজ্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। আর নতুন করে কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের ঘোষণা ব্যাবসায়িদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এই সিদ্ধান্তের কারণে বেকার হয়ে পড়বে কাঁচাপাট আমদানি রফতানির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলারের কাঁচা পাট রফতানি হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২৪ কোটি ডলারের কাঁচা পাট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২ কোটি ৪ লাখ ডলারের কাঁচা পাট রফতানি হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রধানত ভারতে কাঁচা পাট রফতানি হয়। এর বাইরে পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এ পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। কাঁচা পাটের বাইরে বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্যের অন্যতম রফতানিকারক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশি বহুমুখী পাটজাতপণ্যের বিশেষ কদর রয়েছে বিভিন্ন দেশে। ইতি মধ্যে দেশের বিভিন্ন শুল্কস্টেশন দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য কমতে শুরু করেছে বলে বন্দর ব্যাবহারকারীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।