ভিওসি রিপোর্ট
বৈধ ভিসা থাকা সত্বেও গেদে সিমান্ত দিয়ে আসা ৩৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে আট ঘন্টা পর্যন্ত নো-ম্যান্ডস ল্যান্ডসে আটকে রাখার পর বিকেল পাঁচটার দিকে তাদেরকে ঢুকতে দেয় বিএসএফ। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই মূমূর্ষ রুগি ও তাদের সাথে আসা আত্মীয় স্বজন ছিল।
রবিবার সকালে ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের ইমেগ্রেসন সম্পন্ন করে যখন গেদে ইমেগ্রেসন ঢুকতে যাবেন, তখনই ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স নো-ম্যান্স ল্যান্ডসে তাদের সবাইকে আটকে দেয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশী যাত্রীরা তাদের কাছে জানতে চান, বৈধ মেডিক্যাল ভিসা থাকা সত্বেও কেন ভারতে তাদেরকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা, গেদে ইমেগ্রেসন কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সিমান্ত পথে বাংলাদেশী যাত্রীদের ভারত ভ্রমণে সরকারের কোন অনুমতি না থাকার কারণেই তাদেরকে আটকানো হয়।
এই সব মূমূর্ষ রুগিদেরকে সকাল থেকে সারাদিন আটকে রাখার কারণে অনেকেই আসুস্থ হয়ে পড়ে, কিন্তু নো-ম্যান্স ল্যান্ডসে তাদের সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশী রুগি আব্দুল মালেক মোল্লা। এই অনেকটা সময় ভিষণ কষ্টের মধ্যে মানবেতর দিন কাটাতে হয়েছে আমাদের। পরে বিষয়টি নিয়ে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে যোগাযোগ করা হলে উপ-দূতাবাসের কাউন্সিলর মো: বশিরউদ্দিন ফোন ধরেন এবং আমরা তাঁকে আমাদের দুদর্শার বিষয়টি তাকে জানাই। তিনি দু’দেশের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগা যোগ করি তিনি আমাদের আশ্বস্থ করেন। অবশেষে বিকেল পাঁচটার পরে বিএসএফ আমাদের ভারতে ঢোকার অনুমতি দেয়। এই রিপোর্ট লেকা পর্যন্ত গেদে ইমেগ্রেসনে তাদের এন্ত্রি কাজ চলছে বলে গেদে ইমেগ্রেসনে জনৈইক কর্মকর্তা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও কেন এই সমস্ত বাংলাদেশী রুগিদের ভারতে ঢুকতে না দিয়ে আটকে রাখা হলো, এই প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, এই রুট দিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত যাত্রী ভ্রমণ বিরত ছিল। হঠাৎ করে এই রুট দিয়ে এতগুলো যাত্রী ঢোকার বিষয়টি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। পরে আমরা এখানকার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের ভারতে প্রবেশের ব্যাবস্থা করি। । দু’দেশের কর্তৃপক্ষীয় সমন্বয়হীনতার কারণেই এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইমেগ্রেসন কর্মকর্তা জানান।
এ ব্যাপারে কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনার তাওফিক হাসান-র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের ভারতে ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে এমন সমস্যা আর হবেনা বলেও তিনি জানিয়েছেন।