এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে

প্রথমবারের মতো বৈধ পথে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত আমদানি করল  পাঙ্গাস মাছের চারা পোনা।

এর আগে অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতে যেত পাঙ্গাসের পোনা, তেমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারক। বেনাপোল শুল্কভবনের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, বুধবার দুপুরে প্রথম চালানে ৩৪টি অক্সিজেন ব্যাগে ১ লাখ পোনা বোঝায় ট্রাকটি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ” চারা মাছের পোনা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান  যশোর জেলার শার্শার জনতা ফিস ও আমদানিকারক ভারতের পি আর ফুড।

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘গণি অ্যান্ড সন্স’ রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে বেনাপোল শুল্কভবনে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন। প্রতি কেজি চারা মাছের পোনা ১০ ডলার মূল্যে ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।”
জনতা ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী কুদ্দুস আলী বিশ্বাস বলেন,পাঙ্গাস মাছের পোনা  বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম চারা মাছের পোনা ভারতে রপ্তানির বৈধ অনুমতি পেয়েছি। এর আগে পাঙ্গাসের পোনা সীমান্ত পথে পাচার হতো। এখন বৈধ পথে চারা পোনা রফতানীর ফলে উপার্জিত হবে বৈদিশিক মুদ্র্রা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের বাড়বে হ্যাচারী।ভারতের আমদনির তাগিদে বাংলাদেশ রফতানিতে যোগ হলো নতুন পন্য পাঙ্গস মাছের পোনা।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার পাঙ্গাস মাছের পোনা রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় দেশে এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।এছাড়া মাছের হ্যাচারিগুলো আরো ব্যাপকভাবে পাঙ্গাসের চারা মাছ উৎপাদন করতে উৎসাহী হবে এবং স্থানীয়ভাবে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।”

যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এই প্রথম চারা মাছের পোনা ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যার প্রথম চালানে ৩৩৩ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার মূল্যে ১ লাখ পোনা ভারতে রপ্তানি করেছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। তাঁর মতে, ভারতে চারা মাছের পোনা রপ্তানির মধ্যে দিয়ে আমদানি কারক সংস্থা বেশ উৎসাহিত, তারা আগামীতে আ্রো বেশী করে পাঙ্গাসের চারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান এই প্রতিনিধিকে জানান, দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় রফতানি বানিজ্যে মাইল ফলক দৃষ্টান্তের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নতুন পণ্য যোগ হচ্ছে রফতানির তালিকায়, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানান তিনি। এতে আমদানি রফতানি বানিজ্যে দুটি দেশের জনগনই হবে উপকৃত। বানিজ্যে সৃষ্টি হবে আরো সম্ভাবনা।