দিব্যেন্দু গোস্বামী, বীরভূম থেকে

ফের বড়সড় সাফল্য পুলিশের। এবার বাইক চোরাকারবারি সাথে অভিযুক্ত পাণ্ডারা রামপুরহাট মহকুমা পুলিশের জালে। সম্প্রতি (২৭ আগস্ট) পুলিশি অভিযানে মাড়গ্রাম থেকে আটক করা হয় শিফন সেখ নামে এক যুবককে। পরে আটক করা হয় আরও এক অভিযুক্তকে। তার নাম  কিরণ সেখ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের বাড়ি মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে।

পুলিশ সুত্রে  জানায়,  কয়েকদিন আগে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে  বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক চুরি করে   একটি নির্দিষ্ট জায়গা  রাখা হয়। পরে ওই বাইক গুলির ইঞ্জিন নম্বর এবং বাইকের নম্বর প্লেট বদলে সেগুলিকে সস্তায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেই খবর পাওয়া মাত্র  সম্প্রতি পুলিশের একটি দল হানা দেয় সেই আস্তানায় ।  সেখান থেকে  শিপন সেখকে আটক করা হয়। পাশাপাশি সেখান থেকে  উদ্ধার করা হয় ৭টি চোরাই বাইকও। পুলিশি জেরায় সে চুরি কথা স্বীকার করেছে, এবং দীর্ঘদিন ধরে এমনি উপায়ে  চোরা কারবারি  চালাচ্ছে বলে  স্বিকার করে শিপন। শিপনের বয়ান অনুযায়ী এই চক্রের  আরও এক পান্ডা  কিরণ সেখকে  আটক করা হয়।

ধৃত কিরণ  শেখের বাড়ি মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে হলেও অধিকাংশ সময় সে শ্বশুরবাড়ি পাইকরের লম্বাপাড়া গ্রামেই থাকত। এদিন তার শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়েও চোরাই বাইক উদ্ধার  করাহয় বলে পুলিস জানিয়েছে। ইত্যিমধ্যেই ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

এনিয়ে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, এই বাইক গুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করে, পরে তা সস্তায় সেকেণ্ডহ্যাণ্ড বাইক হিসাবে বিক্রি করত ধৃত কিরণ সেখ ও শিপন সেখ । ধৃত দুই যুবককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও  চক্রের হদিশ পেতে চাইছে পুলিশ। পুলিসের ধারণা, শুধু আন্তঃজেলাই নয়, এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পাচারচক্রের চাঁইরাও যুক্ত থাকতে পারে। তাই কিরণকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে  জেরা করা হবে বলে পুলিস জানায়।