এম এ  রহিম  বাংলাদেশ থেকে

ওপার বাংলার ইলিশ প্রেমীদের জন্য সু খবর ! পশ্চিম বাংলায় যচ্ছে ইলিশ মাছের চালান। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে সফরের দিনেই ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ মাছৈর একটি বড় চালান ঢুঁকেছে ভারতে। এ ছাড়া আরও কয়েক দফায় ২হাজার ৪৩৪ মেট্রিক টন টন ইলিশ  ভারতেযাবে। এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে  মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করবে ভারত।

সোমবার  রাত  ৮ টার  দিকে  বেনাপোল বন্দর  দিয়ে  ৪টি ট্রাকে ইলিশের  প্রথম চালান  ভারতে যায়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন  বেনাপোল  বন্দর  মৎস্য  পৃথকীকরণ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান।  তিনি বলেন, ভারতে ইলিশের রপ্তানিকারক বাংলাদেশের বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ এবং আমদানিকারক ভারতের এসআর ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। ‌এই মূল্য হারে এবার পর্যায়ক্রমে প্রায়  আড়াই হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হবে, জানিয়েছেন, মাহবুবুর।

রোববার মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপ সচিব তানিয়া  ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে  ৪৯ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে  আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রককে এই  চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৯ রফতানি কারককে  ৫০ মেট্রিক টন করে মোট দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে ঢাকার ১৮টি,  চট্রগ্রামের ৩টি, যশোরের ৯টি, নড়াইলের ১টি, খুলনার ৩টি, বরিশালের ৩টি, পাবনার ৯টি, নওগাঁ ১টি ও সাতক্ষীরার ১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশির ভাগ ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হবে বলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র  জানিয়েছেআগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে ইলিশ  রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে। আবার সরকার প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানির এই আদেশ যেকোনো সময় বন্ধও করতে পারবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন রুপ বিধি নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে বলে অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে।

ইলিশ  রপ্তানির  শর্তে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর  বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট  রপ্তানি শেষে রপ্তানি  সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে, অনুমোদিত  পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না। এ অনুমতি কোন ভাবেই হস্তান্তর যোগ্য নয়, অনুমোদিত  রপ্তানিকারক  ব্যতিতসাব কন্ট্রাক এ রপ্তানি করা যাবে নাগতবছর  সরকারীভাবে বাংলাদেশের ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬শ’ মেট্রিকটন  ইলিশ  ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দেযা হয়েছিল।এদিকে দূর্গাপুজোর আগে পশ্চমবঙ্গে  ইলিশের প্রথম  চালান বাজারে পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গে  কলকাতার বাবুদের ইলিশ কেনার দূম পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ পূজোর আগে বাজারে ব্যাপক পরিমান পদ্মার ইলিশের আমদানিতে বেজায় খুশী। ইলিশ বিক্রেতাদের মাঝেও ব্যাপক সারা পড়ে গিয়েছে।