দিব্যেন্দু গোস্বামী, বিরভূম থেকে

বাজারের ওভারব্রিজ তৈরি করার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল হঠাৎ করে কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই ওভারব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে যায় । ফলে সিউড়ির হাটজন বাজারের এই রাস্তা বর্তমানে পরিণত হয়েছে খানাখন্দকে এবং বড় বড় গর্তে। ওই বড় বড় গর্তের মধ্যে বৃষ্টির জল জমতে শুরু করেছে । যার ফলে  এইন রাস্তায় নিত্যযাত্রী থেকে পড়ুয়ারা সকলের  ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাকে সঙ্গী করে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে। গত  তিন বছর ধরে রাস্তার ওপর ওভারব্রিজ দাঁড়িয়ে আছে ভগ্নপ্রায় অবস্থায়।

এই নিয়ে  বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় লোকসভায় দাঁড়িয়ে ওভার ব্রিজের কাজের গতি আনার জন্য দরবার করেন। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ। যে  কন্ট্রাক্টর ওই ব্রিজের কাজ করছিল সেও এখন কাজ ছেড়ে দিয়েছে। অন্য কন্ট্রাকটর  দিয়ে কাজ চালানোর কথা হলেও রাস্তা যে  তিমিরে ছিল সেই তিমিরে এই রয়ে গিয়েছে। অল্প জল হলেই রাস্তা থানাখন্দে ভরে ওঠে। প্রত্যেক দিনই এই রাস্তার ওপর ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষজন দায়ী করেছে প্রশাসনকে। তাদের বক্তব্য যদি ওভারব্রিজ নাও হয় তাহলে প্রশাসন কেন এই রাস্তা ঠিক করার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই প্রশ্ন  সিউড়িবাসিসহ অন্যান্য নিত্যযাত্রীদের। এছাড়াও রয়েছে রেলগেটে যানজট সমস্যা। সাধারণ বাসিন্দারা  অর্ধ  নির্মিত রেল ওভারব্রিজের জন্যই এই পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন।

প্রত্যেকদিন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন এই রাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে জীবন হাতে নিয়ে এই রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় বিভিন্ন পেশার মানুষ জনকে। কখন বিপদ ঘটবে কেউ জানে না। দুর্ঘটনাকে সঙ্গী করেই ছোট যানবাহন চলাচল করছে ওই রাস্তার উপর দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে প্রথমে বলা হয়েছিল ওভার ব্রিজ দু বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে কিন্তু ওভারব্রিজ তৈরি তো দূরে থাক রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন তারা। কবে ওভারব্রিজের কাজ শেষ হবে যানজট মুক্ত হবে সিউড়িবাসী। এই আশায় দিন গুনছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।