বামেদের সঙ্গে জোট রক্ষায়  ফের উদ্যোগী কংগ্রেস

প্রণব ভট্রাচার্য়্য

বামদের সঙ্গে ফের জোট রক্ষায় উদ্যোগী কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে শেষ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের নির্বাচন পরবর্তী এবং সাম্প্রতিক তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কংগ্রেস সম্পর্কে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করায় তৃণমূল সম্পর্কে মত বদল করেছে হাইকম্যান্ড। আর নরম নয়, বরং কঠোর মনোভাব নিয়ে পক্ষপাতী দিল্লি নেতৃত্ব। এমনকি কংগ্রেস বামদের সাথে জোট রক্ষায় ফের  উদ্যোগী হবে, হাইকম্যান্ডের  এমনই  বার্তা  বিধানভবনে পৌছালে বামেদের সঙ্গে ফের সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে প্রদেশ কংগ্রেস।

পুজোর শেষে  নিজে উদ্যোগী হয়ে আলিমুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে দলীয় বৈঠকে জানান প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এমনকী,  ৩০ অক্টোবর রাজ্যে যে চারটি উপনির্বাচন হবে  তার তিনটিতে কংগ্রেসের কোন প্রার্থী নেই, সেই সব আসনে  প্রচারে বামেদের পক্ষে প্রদেশ নেতৃত্বকে হাজির থাকতে হবে বলে  দলীয় বৈঠকে আহবান জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সোমবার ওই দলীয় বৈঠকের পর  কয়েকশো বিজেপি কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেয় বলে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি ভবানীপুরে কংগ্রেসের কোন প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত টি কি অধীর চৌধুরীরই ছিল। এই প্রশ্নের জবাবে অধীরের বক্তব্য, তৃণমূল ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শভেন্দু অধিকারীরর কাছে হেরে যান। তার পরেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু সংবিধান অনুয়ায়ী মুখ্যমন্ত্রীত্ব টিকাতে হলে ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে যে কোন একটি উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। সে কারণে অর্থাৎ তাঁকে সম্মান দিতেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে কংগ্রেসের কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি  জানান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কংগ্রেস দল সব সময় সহনুভূতিপ্রবণ মানসিকতা দেখাতে কার্পণ্য করেনা।

তবে তৃণমল ইদানিং যেভাবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে কদার্ষভাবে  আক্রমণের নিশানা করেছে  সেটা যে শীর্ষনেতৃত্ব ভালভাবে নেয়নি এদিন তাও স্পষ্ট করেন প্রদেশ সভাপতি। অধীর চৌধুরীর অভযোগ, দিল্লির শাসকদলের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে চলছে তৃণমূল।

তাই কংগ্রেসের ক্ষতি করতেই পশ্চিবঙ্গ শাসকদলের মুখ্য নেতৃত্ব-র এহেন অবস্থান বলে মনে করেন তিনি। বিজেপি যেমন কংগ্রেস মুক্ত ভারতবর্ষের কথা বলছে,  রাজ্যেও তেমনি তৃণমূল কংগ্রেসমুক্ত করতে চাইছে।

বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের নানা দূর্নীতির জন্য সিবিআই ও ইডি-র তৎপরতা দেখিয়ে আবার তা থেমে যায়। এর জন্য ‘মোদির সাথে দিদির সিটিং’ থাকায় বড় বড় দূনীতির  কোন মামলায় তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের কাছে সিবিআই বা ইডি-রতদন্তকারী কর্তারা ঘেষতেই পারেনা। শুধু লোক দেখাননো-ই সার।