এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে

স্বস্তির খবর। চিন থেকে এসেছে কয়লা, বাংলাদেশে লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা কমবে। তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে  কয়লা সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হওয়ায়  ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পর্যপ্ত কয়লা যোগানের অভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যৎ উৎপাদন না হওয়ায় এই বিপর্যস্তার মুল কারণ। ইতোমধ্যে চিন থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ টন কয়ালা  বোঝাই একটি  জাহাজ  মংলা বন্দরে পৌঁচেছে।জানাগেছে,বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য  এই কয়লা বোঝাই চিন পতাকাবাহী জাহাজটি  শনিবার ভোর ৫ টায়  মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় পৌছায়। এমভি জে হ্যায় নামের জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিয়াজুল জানান, গত ২১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে জাহাজটি ছাড়ে। মোংলা পৌছানোর পরই লাইটার জাহাজের মাধ্যমে  ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ চলছে ব।

এর আগে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টিতে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলায় পৌঁছায়। ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ কর্পোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে বাগেরহাটের রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। তবে শুরু থেকেই সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। তারই মাঝে কয়লা সংকটের কারণে এই কেন্দ্রটি কয়েকবার  বন্ধ হয়েছিল। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন হয় পাঁচ হাজার টন কয়লা।

চিন থেকে আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশের লোডশেডিং অনপকাংশে কমবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা।