এম এ রহিম,  বাংলাদেশ থেকে

দেশে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে  ভারত  থেকে চার কোটি  ডিম আমদানির করবে ভারত। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন।  এসব ডিম বাজারে আসছে শিগগিরই। দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ডিম বাজারে ঢুকলে ডিমের বাজারের অস্থিরতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বানিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে উক্ত  ডিম আমদানি করবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ডিম আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে সরকার। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি পিস ১২ টাকা করে বিক্রি করতে  হবে ।

ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে  প্রসিদ্ধ ডিম আমদানি করতে হবে। তা ছাড়া এগুলো  এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ডফুলু মুক্ত ডিম কিনা তা পরীক্ষা ও যাচাই করে  আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। আমদানি কারকদের সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। কোন ভাবেই নিম্নমানের বা  নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারী বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।