এম এ রহিম.বাংলাদেশ থেকে

একটি দেশের উন্নত সেতু ও সড়ক ব্যবস্থা ব্যাবসা-যোগাযোগ-ভ্রমণসহ আর্থসামাকিক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখে। তেমনি মধুমতি ও কালনা সেতু উদ্ভোধনের পরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। এই স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের কিন্তু আসাধ্য সাধনের এই মাইল ফলক বঙ্গবন্ধু কণ্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান অনস্বিকার্য্য। ার এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বানিজ্য চিকিৎসা ভ্রমণ এখন মানুষের দোরগোড়ায়। সিমাহীন সময়ের ভাড়ে পথযাত্রীরা এখন সস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন।তাদের চোখে মুখে এখন আনন্দময়তার ভাজ। এই সেতু পারাপারে একদা বিড়ম্বিত ব্যবসায়ীদের কাছে এখন গোল্ডেন সম্বাবনা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, কমবে বেকারত্ব।

২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর নড়াইলে সুলতান মঞ্চের জনসভায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মধু মতি সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ১০অক্টোবর ২০২২ সালে উদ্ভোধন করা হয় সেতুটি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে সুন্দর একটি মাহেন্দ্রক্ষণের স্বাক্ষী হয় অনেকে।নড়াইল লোহাগড়ার বুকচিরে বয়ে চলা নদীর উপর নির্মিত হলো দেশের প্রথম ৬ লেন বিশিষ্ট মধুমতি সেতু বা স্থানীয় নাম কালনা সেতু। বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেতুটি ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্কের আওতায় তৈরি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা।
নড়াইলের এমপি সাংসদ বিশ্ব বরেন্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ওপারে ভারত এ পারে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিনের চাওয়াপাওয়া সেতুটি যাতায়াত ও বানিজ্য্যবিস্তারে সিমাহীন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে। এজন্য মাশরাফি প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এই সেতু ব্যবহারের জন্য সুফল পাবে দু দেশের জন মানুষ। বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন,নমড়াইল-যশোর হয়ে ঢাকা কলিকাতা ও চিটাগাংয়ের পথ আনেকটাই কমবে, সময় বাড়বেধারণাতিত। সেতু উদ্বোধনর মধ্য দিয়ে ফেরিঘটের জনযন্ত্রনাময় যানজটের হাত থেকে রক্ষা পেল মানুষজন।

ঢাকা বেনাপোল ও কলিকাতার মধ্যে দুরত্ব কমলো ৭১কিলোমিটার ফলে অল্প সময়েই গন্তব্যে পৌছে যাবে আমদানি রফতানি পণ্য। সরকারের বাড়বে রাজস্ব আয়। কমবে বন্দরে সৃষ্ট পণ্যজটের দুভোর্গ।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ছাড়াও স্থলবন্দর বেনাপোলও ভোমরার সঙ্গে কলিকাতা ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্বও কমাশ পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেছেন, স্বপ্ন নয়, সেতুটি বাস্তবে সম্ভাবনাময় প্রতিফলন ঘটাবে। দেশের শিল্প- কলকারখানায় ব্যবহৃত ৬৫/৭৫ শতাংশ পণ্য আমদানি রফতানি হয় বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। ফেরি পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতো হতে পণ্য পরিবহন। ফরিদপুর-মাওয়া হয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো ঢাকায়।