এম এ রহিম বাংলাদেশ থেকে
এখন থেকে রেলেই পণ্য পরিবহণ করতে পারবে দু’দশের আমদানি রফতানি কারকরা। দুদেশের ব্যাবসায়িদের দীর্ঘদিনের দাবীর মুখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার পরই ভারত সরকারের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইন ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অব কাস্টমস একটি সার্কুলার জারি করে। এর পরই রেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমদানি ও ভারত থেকে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশ বানিজ্য মন্ত্রনালয় গত ৪ঠা অক্টোবর একটি নির্দেশনা জারী করে। যার স্বারক নং২৬০০ ০০০০ ১২১-৩৯-০২৩-২০.১৭০। জারী করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে ভারত থেকে আসা আমদানি বাহি ট্রেন বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পণ্য খালাস হলে ফিরতি সেই ট্রেনেই লোড হব ভারতের রফতানি পণ্য।এমনই নির্দেশনা দিয়েছে বানিজ্যে মন্ত্রনালয়। এই ব্যবস্থায় বড় সুফল পাওয়া যাবে যেমন- পণ্য পরিবহনে একটা বিশাল আংকের খরচ বাচবে, তেমনি অপচয় কম হবে সময়।পণ্য আসা যাওয়য় গতি ফিরে আসবে অভাবনীয় । উপকৃত হবে উভয় দেশের ব্যাবসায়িরাস্থানীয় বন্দর ও ব্যাবসায়ি সংশ্লিষ্টরা জানান,করোনার মধ্যেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে কলিকাতা থেকে ট্রেনে পণ্য আমদানি ছিল স্বাভাবিক। তবে আমদানি পণ্য খালাসের পর খালি ট্রেন ফিরতো ভারতে। ব্যাবসায়িদের দীর্ঘদিনের দাবীর মুখে-দু দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার পরই দুই দেশের সরকারের এই ব্যবস্থা আনুমোদনের পর ব্যবসায়ীদের মাঝে বেশ আশার আলো দেখা দিয়ে। আর এই সুবিধা স্বাধীনতার পর এই প্রথম শুরু হলো। পেট্টাপোল বেনাপোল ও গেদে দর্শনা রোডে খালি ট্রেনে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে খুশি ব্যাবসায়িরা। বেনাপোল যশোর রংপুর, রাজশাহী কাস্টমকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্নিত সুবিধা ব্যাবহারে রফতানির সাথে সংশ্লিষ্টদের সেই পরিচয়পত্র প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
বাংলাদেশ ও ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ব্যবসায়িদের দীর্ঘদিনের দাবীর মুখে একই ট্রেনে আমদানি ও রফতানি পণ্য আসা যাওয়ার সুবিধা দু’দেশের ব্যবসায়ীদের জন্যই আশাতিত দৃষ্টান্ত হবে নিশ্চিত। এই জন্য মতিয়র রহমান দু’দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।